পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাজন আমাদের ত্ৰিপিনোপলী পৌছিয়ে দেবার জন্য দিয়েছেন। আমরা তখন ভাগাভাগি ক’রে তিনখানি মোটরে সওয়ার হয়ে যাত্রা আরম্ভ করলাম। খানিক দূর এসেই বেশ বুঝতে পারা গেল যে, এদিকে খুব ঝড় বৃষ্টি হয়ে গেছে। তাঞ্জোরে কিন্তু আমরা মেঘই দেখেছিলাম, বৃষ্টি বা ঝড় পাই নি। আর খানিকটা অগ্রসর হয়েই আমাদের তিনখানি মোটরই থেমে গেল। কি ব্যাপার! না, রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এই কিছুক্ষণ পূর্বেই আমরা এই পথে গিয়েছি; রাস্তা ঠিক ছিল,-“এখন কিসে বন্ধ হ’ল ! সকলে তখন গাড়ী থেকে নেমে দেখি, প্ৰকাণ্ড এক অশ্বখ বৃক্ষ শিকড় শুদ্ধ উপড়ে পড়ে সমস্ত পথটী বন্ধ করে ভূমিশায়ী হয়ে আছেন। আশে-পাশে লোকালয়ও নেই যে লোকজন ডেকে গাছটাকে সরিয়ে পথ করে নিই। আর লোক পেলেই বা কি ! সেই প্ৰকাণ্ড গাছকে সরাতে গেলে যেমন করে হোক দু’শো লোকের দরকার। এই দু’শো লোক মিলে গাছটাকে কেটে রাস্তা পরিষ্কার করতে হলে, সে রাত ত যাবেই, পরের দিনেও কুলিয়ে উঠবে কি না সন্দেহ ! এদিকে আমাদের গাড়ী। কিন্তু ৯-৪০ মিনিটে । তখন আমরা অসাধ্য-সাধনে প্ৰবৃত্ত হলাম। সবাই মিলে গাছের ডাল ভাঙ্গতে আরম্ভ করে দিলাম। মহারাজ থেকে আরম্ভ করে চালক পৰ্য্যন্ত সকলেই সেই প্ৰকাণ্ড বুক্ষের ডাল ভাঙ্গছি। কিন্তু ডাল ভাঙ্গলে কি হবে; গাছের প্রকাণ্ড কাণ্ড একেবারে পথ জুড়ে শুয়ে আছেন। রাস্তার দু’পাশে জমি ; তাতে বৃষ্টির জল দাড়িয়েছে। সে জমির অবস্থা কি এবং জলই বা কতখানি দাড়িয়েছে, মোটরের হেড, লাইটের সাহায্যে তা ঠিক করা গেল না। কোনও উপায় না দেখে, আমাদের সঙ্গী শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস আয়েঙ্গার মহাশয় বল্লেন,