পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“আর যখন কোন উপায়ই দেখা যাচ্ছে না, তখন আমি একখানি মোটর নিয়ে মাঠে নেমে পড়ি। যদি মাঠ ভেঙ্গে ও-পাশে, রাস্তায় উঠতে পারি, তাহ’লে আর দুখানিকেও সেই পথই অবলম্বন করতে হবে। আর যদি আমার মোটর মাঠের মধ্যে জল-কাদায় আটকে যায়, তা হলে আর কোন উপায় নেই।” আয়েঙ্গার মহাশয় যে সুদক্ষ মোটর-চালক, তা আমরা যাবার সময়েই জানতে পেরেছিলাম। তিনি তখন মোটরে সমস্ত শক্তি প্ৰয়োগ করে মাঠে নেমে পড়লেন। আমরা কিন্তু তখনও গাছের ডালই ভাঙ্গছি। এমন সময় রাস্তা দিয়ে গুটি-চারেক কুলি এসে উপস্থিত হ’ল । তাদের দুজনের কাধে দুখানি কোদালি । আমরা তাদের আটক করলাম। তারা বলে “কোদালি দিয়ে গাছ কাটুব কি করে! আর তা সম্ভব হলেও এত বড় কাণ্ড কাটতে দুদিন সময় লাগবে ।” তবুও তাদের ছাড়া হোল না, রাস্তার পাশের দিকে যে জঙ্গল ছিল, তাই পরিষ্কার করতে তাদের লাগিয়ে দেওয়া গেল । আমরা তখন গাছের ডাল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছাপিয়ে উঠেছি ; মহারাজ ও কুমারদ্বয়ের বহুমূল্য পোষাক বটের আটায় ও রাস্তার কাদায় একেবারে মলিন হয়ে গিয়েছে ; তঁাদের আর হাত নাড়বার যে নেই, এমন হয়েছে। আমরাই অবসন্ন হয়ে পড়েছিলাম, তাদের ত কথাই নেই! ও-দিকে আনুষ্ঠার মহাশয় যখন মাঠের জল-কাদা ভেঙ্গে অপর দিকে রাস্তায় উঠেছেন, সেই সময় আমাদের দুই গাড়ীর চালক বলল যে, রাস্তার পাশে যে জঙ্গল পরিষ্কার হয়েছে, সেইখান দিয়ে মোটর চালিয়ে তারা গাছ ডিঙ্গিয়ে যেতে পারবে । তাই হোল। একখানি মোটর খানিকটা পিছু হ’টে এমন জোরে গাড়ী চালিয়ে দিল

  • e39