পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনুষকোটিতে রেল শেষ। সেখানেই pier,-জাহাজ লাগে, মালপত্র নেওয়া হয় । আমরা রামেশ্বরে নেমে পড়লাম। মহারাজের সেলুন কেটে রেখে গাড়ী ধনুষকোটী চলে গেল। মহারাজ ইতঃপূর্বেই গাড়ীতে স্নান করে গরদের ধুতি জামা চাদর পরে, খালি পায়ে প্রস্তুত হয়েছিলেন ; কুমারদ্বয় ও ভগবতীও তাই। আর সকলেই গাড়ীতেই স্নান সেবে নিয়েছিলেন । আমি কিন্তু তা করি নাই। রামেশ্ববের মন্দিরে প্রবেশ করবার পূর্বে সাগবে মান-তৰ্পণ করে তবে মন্দিরে যাব, এই ছিল আমার সঙ্কল্প। তাই গারদের কাপড়, জামা ও শাল একখানি গামছায় জড়িয়ে নিয়ে নগ্নপদে নেমে পড়লাম । সকলেই আজ নগ্নপদ। ষ্টেসনে সমস্ত ব্যবস্থা ছিল, মন্দিরের পুরোহিত, কৰ্ম্মচারী, রামনাদের রাজার ম্যানেজাব প্রভৃতি সমস্ত ঠিক কবে রেখেছিলেন। দুইখানি মোটব ষ্টেসনে ছিল। ষ্টেসন থেকে মন্দিব अiन श्रे মাইল। আমরা মোটরে মন্দিবোৰ কাছে গেলাম। আমি স্নান তৰ্পণ করতে গেলাম। মহারাজ মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে ফটাে তুলতে লাগলেন। একসঙ্গে এসেছি, একসঙ্গে মন্দিরে প্রবেশ"ঙ্করতে হবে ; তাই মহারাজ অপেক্ষা করতে লাগলেন। আমি তীর্থ-স্নান ও তর্পণ পাণ্ডাদের সাহায্যে সেরে তাড়াতাড়ি এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিলাম। তখন মন্দিরে প্রবেশ। দেখি মহা আয়োজন। সজ্জিত হাতী, উট, ঘোড়া, অনেক বাদ্যকর মহারাজের অভ্যর্থনার জন্য প্ৰস্তুত ছিল । চারিদিকে লোকারণ্য । আমরা মন্দিরে প্রবেশ করলাম। মন্দির তিন মাইল জুড়ে। কত যে চত্বর, প্রাঙ্গণ, কত যে দেব-দেবী, তার আর সংখ্যা নেই। প্ৰধান মূৰ্ত্তি দুইটী-হনুমানের প্রতিষ্ঠিত শিবমূৰ্ত্তি, আর শ্ৰীরামচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত বালির শিবমূৰ্ত্তি। এ সকলের ইতিহাস যথাসাধ্য পরে বলছি, DFSN