পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা সইবে ?” এর থেকে বুঝতে পারা গেল যে, বাঙ্গালোরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই,-আমার পূর্ব ব্যবস্থাই বহাল থাকবে। শ্ৰীযুক্ত মহারাজাধিরাজ বাহাদুর বাঙ্গালোরে পৌছে তিন চারদিন পরেই আমাকে পত্র লিখলেন। শ্ৰীমান ললিত যা বলেছিলেন, পত্রেও তাই ছিল। অধিকন্তু ছিল এই যে, তখন বাঙ্গালোবে খুব বৃষ্টি হচ্চে ; সেই বৃষ্টির মধ্যে তাম্বুতে থাকলে, আমার শরীর ভাল থাকবে কি না, এইটাই মহারাজের চিন্তার বিষয় হয়েছে। আমি তার সেই স্নেহপূর্ণ পত্ৰ যেদিন পেলাম, তাব পরের দিন প্ৰাতঃকালেই উত্তর দিলাম যে, এত যখন অসুবিধা মহাবাজ মনে করছেন, তখন আমার যাওয়া হবে না, আমি এবাব পূজার অবকাশ-সময়টা দেশেই কাটাব। সেই দিনই বিকেল বেলা সব ব্যবস্থা উলটে গেল। এইখানে একটা কথা বলে রাখি। আমরা পণ্ডিত মানুyয কি না, তাই শাস্ত্ৰ-বচন মানি । এই শাস্ত্ৰ-বচন শিরোধাৰ্য্য করে আমরা শ্ৰীসূক্ত মহারাজাধিরাজকুমার বাহাদুরের উপাধির অৰ্দ্ধেক অংশ ত্যাগ করে শেষাৰ্দ্ধ রেখেছিলাম-ধিরাজকুমার, এবং এই শেষাৰ্দ্ধই বৰ্দ্ধমান-বাজ কর্তৃক মধুর হয়ে গিয়েছিল । সুতরাং অতঃপর অত বড় উপাধিটা বারবার না ব'লে পিপাজকুমাল বাহাদুর উপাধিটাই এই দক্ষিণাপগ-ভ্ৰমণে ব্যবহার করব। বলেছি ত, সকালে যাওয়া বন্ধ করে শ্ৰীযুক্ত মহারাজাধিবাজ বাহাদুরকে পত্র লিখেছিলাম, বিকেলেই তা উলটে গেল। বিকেল বেলা শ্ৰীযুক্ত ধিরাজকুমারের প্রাইভেট সেক্রেটারী আমার বাসায় এসে হাজির । তিনি বললেন যে, মহারাজের আদেশ-অনুসাবে শ্ৰীযুক্ত ধিলাজকুমার সেই দিনই গাড়ী রিজার্ভ করেছেন ; ১৯শে সেপ্টেম্বর, ৩রা অশ্বিন শনিবার মাদ্রাজ মেলে আমাদের যাত্রা করতে হবে। পূজার সময় অনেক আগে ব্যবস্থা না করলে রিজার্ভ পাওয়া যায় না । প্ৰাইভেট সেক্রেটারী মহাশয় সেই সংবাদ e