পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগে মন্দির দেখে নিই। প্রত্যেক মন্দিরেই মাল্য-গ্ৰহণ ; মহারাজ সৰ্ব্বত্র উত্তরীয় পেতে লাগলেন। আমরাও মালা পেতে লাগলাম, আর চন্দনের ফোটা । মালায় গলা ভরে গেলে সেগুলি চাকরীদের হাতে দিয়ে পুনরায় भांळ श्°| । দেবদেবী আর ফুরায় না ; অন্ধকার মন্দিরেরও শেষ নেই। চারিদিকে একটা প্ৰকাণ্ড প্রাচীর, আর তার মধ্যে অগণ্য মন্দির, গর্ভগৃহ, চত্বর। সবটাতেই আলো জ্বলছে, প্ৰদীপ আছে, অনেকগুলি ইলেকট্রিক আলোও আছে। মন্দিলগুলোর মধ্যের অন্ধকার দূর করবার জন্য সেই দিন দুপুবেও শতশত আলো জ্বালা হয়েছে ; তাতেও সে বিশাল অন্ধকার কেটে যায় নাই । মহারাজ প্ৰত্যেক মন্দিবে দুইহাতে প্ৰণামী দিতে লাগলেন। বেলা আটটায় প্রবেশ, আর বহিৰ্গমন সাড়ে দশটায়। মন্দিরের মধ্যে বাজারও আছে । আমি কয়েকখানা ফটো কিনলাম। আমার মনে হোলো, এই মন্দিরের দেব-দেবী, লোকজন, ভৃত্য, কাঙ্গালী, সাধু সন্ন্যাসী, শোভাযাত্রাকারী প্ৰভৃতিকে দিতে, এবং রামেশ্বরের ভোগ দিতে মহারাজের প্রায় হাজার দুই তিন টাকার উপর লেগে গেল। আমিও যথাসাধ্য টাকা, আধুলি, সিকি, দুয়ানি যেখানে যেমন পারলাম দান করলাম। কয়েকটী কিশোর এক স্থানে দাড়িয়ে মন্দিরা বাজিয়ে তামিল স্তোত্র গান করছিল। কথা বুঝতে পারলাম না, কিন্তু সুর ভারি মিষ্ট এবং বড়ই মনোরম। ছেলে কয়েকটী ব্ৰাহ্মণ-সন্তান, সৌম্য মূৰ্ত্তি। মহারাজ প্ৰত্যেককে একটা করে টাকা দিলেন। আমিও প্রত্যেককে চার আনা হিসাবে দান করে পুণ্য সঞ্চয় করলাম। মন্দিরের মধ্যে যেমন করে হোক, দু তিন মাইল হঁটিতে হয়েছিল, তবুও দেখা শেষ হয় না। শেষে রণে ভঙ্গ দিয়ে বাইরে এসে হাফ ছেড়ে