পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাচি। বাতাস কিন্তু খুব ঠাণ্ডা, শরীর জুড়িয়ে যায়। পদতলে শুধু বালি। মনে করেছিলাম, ষ্টেসনে গিয়ে সেলুনে বুঝি। যথারীতি আহার হবে তা নয়। রামনাদের রাজার একটী অনতিবৃহৎ ভবন। এখানে আছে। সেখানেই খেতে হবে। সেখানে কৰ্ম্মচারীর রাজার আদেশে সমস্ত আয়োজন করেছেন। ষ্টেসন থেকে আমাদের লোকজন আনিয়েছেন । তাদের লোকেরাও রান্না করছে, আমাদের লোকেরাও রান্না করছে, বামেশ্বর দেবের ভোগ ও আসবে। সুতরাং আমাদের সেই বাজ-গৃহে যেতে হোলো । রাজবাড়ীর ভিতরে একটা সুসজ্জিত মহলে মহারাজা আশ্রয় নিলেন । আমরা বাইরোবু একটা প্ৰকাণ্ড ঘরের বারান্দায় ইজিচেয়ার আশ্রয় করলাম। গরদের কাপড় জমা একেবারে ভিজে গিয়েছিল, আর ফোটা চন্দন ও মালায় চৰ্চিত হয়েছিল। সেখানেই সকালের মানের কাপড়খানি পরে শান্তিলাভ করা গেল। হাত-মুখ ধুয়ে স্থির তলাম, শরীরও স্নিগ্ধ হোলো । 譬 এরই মধ্যে দলে-দলে লোকজন জিনিষপত্র নিয়ে হাৰ্জিঞ্জ । মহারাজেব বিশ্রাম-কক্ষের বারান্দায় মেলা বসে গেল। তিনি, দুই কুমার, আর ভূগবতী যা-তা সব কিন্তুতে লাগলেন। আমরাও বাইরের বারান্দায় মেলা বসালাম। কড়ি, ঝিনুক, শঙ্খ প্ৰভৃতি আমরাও সামান্য কিনলাম। মন্দিরের প্রধান পাণ্ড এসে মিছারী প্ৰভৃতি প্ৰসাদ দিয়ে গেলেন। তার পর খাতা এলো, নাম ধাম লিখে দিতে হবে । মহারাজ নিজের হাতে ইংরাজী ও হিন্দীতে আত্ম-পরিচয় লিখে দিয়েছেন। . আমি বললাম। বাঙ্গালায় লিখব। পাণ্ড তাতেই স্বীকার হোলো । আমি বাঙ্গালা অক্ষরে নাম, পিতার নাম, পিতামহের নাম, সাত ছেলের নাম, চার ভাইপোয়ের নাম, দুই \ط <