পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একেবারে প্রকাণ্ড ভোজ-বাঙ্গালা তরকারী, মিষ্টান্ন ও দেশী তরকারী, ভাত,পোলাও, প্রচুর আহার। বেলা যখন একটা বাজল, তখন ষ্টেসনে

  • If

এদিকে কিন্তু আর এক ব্যবস্থা মহারাজা ও ললিত করে রেখেছিলেন । ষ্টেসন থেকে রেলে ধনুষকোটী যেতে হবে । কিন্তু পাচটার পূর্বে গাড়ী নেই। ললিত অদ্ভুত-কৰ্ম্ম । সে সকালে নেমেই টাকা-কড়ি দিয়ে ঠিক করেছিল যে, আড়াইটার সময় কুলী নিয়ে যে গাড়ীখানি ধনুষকোটী যাবে, তারই সঙ্গে আমাদের সেলুন জুড়ে দিতে হবে। আমরা ষ্টেসনে এসে দেখি সব ঠিক। একটু বিশ্রাম করবার পরই সেই কুলী-বোঝাই মালগাড়ীর সঙ্গে আমাদের সেলুন জুড়ে দিল। চোদ্দ মাইল গিয়ে ধনুযকোটী পৌছিলাম। এ চোদ্দ মাইল সুধু বালিয়াড়ি ; গ্রাম একেবাবে নেই, গাছপালাও নেই,-চারিদিকে অনন্ত বালুকারাশি-আর দূরে ভাবতমহাসাগরের গর্জন । ধনুষকোটিতে মন্দির নেই ; তবে সেই বালুকারাশির মধ্যেই ষ্টেসন নিৰ্ম্মিত হয়েছে, কতকগুলি বাড়াও তৈরী হয়েছে; এমন কি একটা খৃষ্টানী গির্জা নিৰ্ম্মাণ করতেও ভুল হয় নাই। এখানেই রেল শেষ। পাশ্ব একটা শাখা-পথ ; তা দিয়ে একটু দূরে গেলেই Pier । ষ্টেসন থেকে সমুদ্রেব জল পোয়৷ মাইল দূরে, Pierও তাই। অন্য যান নেই, সুধু গরুর গাড়ী।। এ পোয় মাইল সেই তিনটার সময় রৌদ্রের মধ্যে যাওয়া অসম্ভব ; বালিতে পা বসে যায় ; আর গরমও তেমনি, যদিও গায়ে বেশ ঠাণ্ড সমুদ্রের হাওয়া লাগছে। মহারাজ বললেন, সবাইকে সমুদ্রে নাইতে হবে। তখন সবাই সেই যানে চড়ে একেবারে মহাসাগরের কিনারায় যাওয়া গেল। মহারাজদের সঙ্গে নাইবার পোষাক ছিল, তঁরা কাপড় ছেড়ে সেই পোষাক পরে মহাসাগরে নেমে পড়লেন। আমরাও set'