পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গড়াগড়ি দিয়ে নাকে মুখে মাথায় গায়ে বালি মেখে, দুই চার টোক নোনা জলণ্ডু খেয়ে, কোন রকমে উপৰে উঠলাম। আর সবাই আধা ঘণ্টার উপর ঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগলেন। কারও কোন সঙ্কোচ নেই, মহারাজও বালক বনে গেলেন। হো হো হাসি সমূদ্র-গৰ্জনের সঙ্গে পাল্লা দিতে লাগিল । যুবকদলের সে যে কি উল্লাস, তার বর্ণনা আমি বৃদ্ধ কেমন কবে দেব। তার পর সবাই কাপড় ছাড়লেন । বালি ছাড়াতে প্ৰাণান্ত, এদিকে বাতাসও খুব । আমি বালিব উপর ফেলে দিয়ে পাচ মিনিটেই কাপড় গামছা শুকিয়ে নিলাম। তার পর গোযানে উঠে মহাবীজের আদেশ হোলো মহাসাগরের ধার দিয়ে Pier পৰ্য্যন্ত যেতে হবে। তাই যাওয়া গেল। সেখানে প্ৰকাণ্ড জেঠী । তারই উপব দিয়ে মাল-গাড়ী নিয়ে q吃夺可忆司 জাহাজের মধ্যে গাড়ীর মাল ঢেলে দেওয়া হচে । দুখানি জাহাজ ছিল ; কোথায় যাচ্ছে জানিনে, জিজ্ঞাসাও করিনি । 朝 সাড়ে পাচটার সময় ষ্টেসনে এলাম। দেখি পাচটার গাড়ী এসে গেছে। ছটার সময় আমাদের গাড়ী ছাড়বে। আমি একটা দ্বিতীয় । শ্রেণীর কামরায় একেলা বসে মহাসমুদ্রের শোভা, আঠু সূৰ্য্যাস্তের আয়োজন দেখতে লাগিলাম। দেখলামই, কিন্তু তা বর্ণনা করবার শক্তি আমার নেই ;– আমার সুধু মনে হোলো—“ঐ যে দেখা যায় আনন্দধাম ভব-জলধির পারে জ্যোতিৰ্ম্ময় !” ছটার একটু আগেই গাড়ী প্ৰস্তুত হোলো। সেলুন জুড়ে দেওয়া হোলো । ধনুষকোটী থেকে ৬টায় গাড়ী ছাড়ল । এই গাড়ীই বরাবর চলে যাবে। আমরা রাত্রি এগারটা পচিশ মিনিটে মাদুরায় পৌছিব।। সেখানে গাড়ী‘ ছেড়ে দিতে হবে । মহারাজের সেলুন কেটে রাখবে। ধনুষকোটী থেকে গাড়ী রামেশ্বরে এলো । আমরা আর একবার E 22