পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

।। হনুমান আর কোন উপায় না দেখে একেবারে গন্ধমাদন পর্বতটাকেই উপড়ে । নিয়ে মাথায় করে লঙ্কায় হাজির। বৈদ্য সুষেণ পৰ্ব্বত খুজে বিশল্যাকরণী বার করলেন ; ঠাকুর লক্ষ্মণের প্রাণ-রক্ষা হোলো । এখন এত বড় পর্বতটাকে নিয়ে কি করা যায় ? লঙ্কায় ফেলে রাখা ত ? সঙ্গত হবে না। হনুমান তখন পুনরায় পৰ্বতটীকে স্কন্ধে করে যথাস্থানে রেখে আসবার কষ্ট স্বীকার না করে, তাকে আকাশে তুলে ছুড়ে মারলেন। র্তার অভিপ্ৰায় ছিল যে, তিনি যতটা বেগে পর্বতটিকে নিক্ষেপ কবেছেন, তাতে সে যথাস্থানে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তা হোলো না, গন্ধমাদন নিজ স্থান পৰ্যন্ত গিয়ে উঠতে পারলেন না, সমুদ্রতীবে মণ্ডপম সহবেব অনতিদূবে সমুদ্রের মধ্যে পড়লেন। পর্বত ত নিতান্ত ছোট নয়, আব্ব সেখানে সমুদ্রের জলও খুব গভীর ছিল না ; তাই পৰ্বতটা ডুবে গেল না, খানিকটা অংশ জেগে রইল, অর্থাৎ একটা দ্বীপরূপে পরিণত হোলো । এই দ্বীপেবই পরে নাম হোলো রামেশ্বরম। এ কিন্তু আমাৰ মন-গড় প্রত্নতত্ত্ব নযখাটি পুরাণের কথা-অবিশ্বাস কববাব যো নাই। যাক, লঙ্কা জয় হোলো, বাবণ সবংশে নিহত হোলেন, সীত্ব' দেবীর উদ্ধার সাধিত হােলো। বামচন্দ্র তাব পর সসৈন্য সেতুর উপব দিয়ে এ-পারে এলেন। যেখানে প্রথম এলেন, সেস্থান ঐ গন্ধমাদন প্রতিষ্ঠিত দ্বীপ। . সেই সময় ঐ অঞ্চলের অধিবাসীরা এসে নিবেদন করল যে, সেতুটীি যদি থাকে, তা হলে লঙ্কার রাক্ষসেরা অনায়াসে সমূদ্র পার হয়ে এসে এ প্রদেশের অধিবাসীদিগের উপর ঘোব অত্যাচার করবে; তাদের এখানে বাস করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। এদিকে সমুদ্রও এসে করযোড়ে রামচন্দ্রের কাছে নিবেদন করলেন যে, প্রভুর ত কাৰ্য্য উদ্ধার হোলো, এখন তাহাব এ বন্ধনদশা আর থাকে কেন ? এই উভয় আবেদনই অতি সঙ্গত মনে ক’রে দয়াময় রামচন্দ্ৰ ধনুকে বাণ যোজনা করে একই বাণে সমস্ত সেতুটি + NSNAVS