পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হতে পারেন নাই। তার পর তিনি যখন শুনলেন যে, छर्छ अg°ीको क्रा করে, শুভলগ্ন অতীত হয় দেখে শ্ৰীরামচন্দ্র বালুকা-নিৰ্ম্মিত লিঙ্গমূৰ্ত্তি যথারীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তখন হনুমান একেবারে ক্ৰোধে প্ৰজ্বলিত হুতাশনবৎ হলেন। তিনি বললেন, সে হতেই পারে না, দূর করে দেও, ভেঙ্গে ফেলে দেও তোমার বালির মূৰ্ত্তিা! আমার এই মূৰ্ত্তিই প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। শ্ৰীরামচন্দ্র ও অন্যান্য সকলে হনুমানকে শান্ত করতে চেষ্টা করলেন ; তিনি যে কথা বলছেন, তা যে শাস্ত্ৰ-সঙ্গত নয়, তাহাও বুঝাতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু, হনুমান কোন যুক্তিই শুনতে প্ৰস্তুত নন; তিনি এত কষ্ট করে এতদূর থেকে মূৰ্ত্তি আনলেন, আর তার প্রতিষ্ঠা না হয়ে বালির মূৰ্ত্তি থাকবে-এ কিছুতেই হবে না। তিনি তখন জোর করে শ্ৰীীরামচন্দ্ৰ-প্রতিষ্ঠিত বালুকানিৰ্ম্মিত লিঙ্গামূৰ্ত্তি ভেঙ্গে ফেলতে গেলেন ; কিন্তু, সে মূৰ্ত্তি তখন পাষাণ অপেক্ষাও কঠিন হয়ে দাড়ালো”। অত-বড় বীরের চেষ্টা ব্যর্থ হোলো, মুক্তি অপসারিত করা দূরে থাক, একটু ভাঙ্গতেও তিনি পারলেন না। তবে, তিনি যখন সেই মূৰ্ত্তি ভাঙ্গাবার জন্য চেষ্টা করেন, তখন তার অঙ্গুলির চিহ্ন মূৰ্ত্তির উপব অঙ্কিত হয়েছিল। রামেশ্বরের পাণ্ডারা এখনও যাত্রীদি। তাহা দেখাইয়া থাকে। সকল যাত্রী না কি সে বালির লিঙ্গমূৰ্ত্তিষ্ক। পায় না, তাহা সোনার একটী আবরণে আবৃত থাকে। সাধারণ যাত্রীরা তাই দেখে কৃতাৰ্থ হয়। আর যাহারা অসাধারণ যাত্রী অর্থাৎ যাহারা বেশী রকম ভৈট ও দক্ষিণা কবুল করেন, পাণ্ডার স্বৰ্ণাবরণ উন্মোচন করে তাদের আসল বালুকনিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি দেখিয়ে থাকেন। আমরা অসাধারণ দলের যাত্রীই ছিলাম এবং যথাতিরিক্ত দক্ষিণা প্ৰাপ্তির আঁশ, পাণ্ডাদের বিলক্ষণ ছিল, তাই আমরা বালুক নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তিই দেখতে পেয়েছিলাম ; কিন্তু যে অন্ধকার ঘর, প্ৰায় হাজার-খানেক প্ৰদীপ জেলেও যে অন্ধকার দূর করা যায় না, সেখানে বীর হনুমানের অঙ্গুলির টিপ আমি Yegro