পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঠাকুর করতে পারিনি; তবে আর যারা দেখতে পেয়েছেন, তাঁদের কথা । এবং পুরাণ-বাক্য মেনে ক্লিতে আমার কোনই আপত্তি নাই। ' ' ' ); যাক, সে কথা । মহাবীর কুনুমান যখন বালুক-নিৰ্ম্মিত লিঙ্গমূৰ্ত্তি ভাঙ্গতে বা সরাতেও অকৃতকাৰ্য্য হলেন, তখন দয়াময় শ্ৰীয়ামচন্দ্ৰ সহাস্য বদনে বললেন “ভক্তবীর, তুমি মনে ক্ষোভ কোরো না। তোমার আনীত মূৰ্ত্তিও আর একটা শুভ দিন দেখে ঐ মূৰ্ত্তির অনতিদূরে যথারীতি অনুষ্ঠান সহকারে স্থাপিত হবে। এবং আমার আদেশ এই যে, এই স্থানে প্ৰতিষ্ঠিত দুইটী মূৰ্ত্তির মধ্যে তোমাব স্থাপিত মূৰ্ত্তির নাম হবে হনুমান-লিঙ্গ এবং তোমার এই মূৰ্ত্তিব পূজা সৰ্ব্বাগ্রে তবে, তার পর আমার স্থাপিত মূৰ্ত্তির পূজা হবে।” এই ব্যবস্থায় হনুমান সন্তুষ্ট হলেন । সেই থেকে ঐ ব্যবস্থাই চলে আসছে। হনুমান-লিঙ্গের পূজা আগে হয়, রামলিঙ্গের পূজা পরে হয়। ভক্তের কাছে ভগবানকে এমন করেই পরাজয় স্বীকার করতে হয় ! এ ত গেল ত্রেতাযুগে লিঙ্গমূৰ্ত্তি-প্রতিষ্ঠাব কথা । তার পর কেমন করে এই সব প্ৰকাণ্ডকায় মন্দিব গড়ে উঠল, তার ব্যবস্থা বন্দোবস্তই বা কি করে, কার দ্বারা হোলো, তার ইতিহাস আছে। এতক্ষণ যা বললাম, তা পুরাণ কথা ; এখন যা বলব তা ইতিহাস। ዘተ রামনাদের বাজবংশ সেতুপতি নামে অভিহিত হয়ে থাকেন। এই বংশ বহুকাল থেকে রামেশ্বরমের মন্দিরাদির পূজার ব্যবস্থা করে আসছেন। তঁাদের অনেকেবা কীৰ্ত্তি-কাহিনী এই সকল মন্দিরের স্তম্ভগাত্রে উৎকীর্ণ রয়েছে। এই বংশের একজন রাজার নাম ছিল। রঘুনাথ সেতুপতি। তিনি ১৬৬৯ অব্দে তাঞ্জোরের সৈন্যদলকে যুদ্ধে পরাস্ত করে অনেক স্থান স্বাধিকারভুক্ত করেন। আর একটী শিলালিপি পাঠে জানতে পারা যায়, মঙ্গাপালাক্রমশালী তিরুমালাই সেতুপতি, যখন মহিষুরের রাজা মাদুরা আক্রমণ করেন, তখন মাদুরার রাজাকে সাহায্য করেন এবং এই জন্য 31 o