পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৭৯

陈 মাদুরার রাজা তাহাকে অনেকগুলি জনপদ দান করেন। মন্দিরের বিভিন্ন স্থানে স্তম্ভগাত্রে যে সকল তাম্রলিপি আছে, তাহা হইতেও জানতে পাই যায় যে, এই সেতুপতি-বংশের অনেক রাজা মন্দিরের ব্যয়-নির্বাহাৰ্থ অনেক অর্থ ও গ্রাম দান করেছিলেন। শ্ৰীতিরুমালাই রঘুনাথ সেতুপতি ১৬৫৯ অব্দে এই রামেশ্বরমের সন্নিহিত ধনুষকোটীতে হিরণ্যগৰ্ভদান কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন এবং তদুপলক্ষে বহু অর্থ ও মণিমুক্ত এবং সুবর্ণনিৰ্ম্মিত নানা আসবাব রামেশ্বরমের মন্দিরে দান করেন। রামেশ্বরমের প্রধান মন্দির কয়েকটী উদয়ন সেতুপতি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হয়। এই মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণে তিনি সিংহল দ্বীপের বাজা পাররাজ শেখরের নিকট অনেক সাহায্য প্রাপ্ত হন। যতদূর জানতে পারা যায়, তাহাতে ১৪১৪ অব্দে রামেশ্বরমের প্রধান মন্দির কয়েকটি নিৰ্ম্মিত হয়েছিল বলে মনে হয়। রামেশ্বরের উত্তর ও দক্ষিণ গোপুরম কিরণ রায়ার কর্তৃক ১৪২০ অব্দে নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ হয়, কিন্তু, কি কারণে বলা যায় না, গোপুরম দুইটীর নিৰ্ম্মাণ সমাপ্ত হয় নাই; যতটুকু হয়েছিল সেই অবস্থায়ই এখন পর্যন্ত রয়েছে। উদয়ন সেতুপতি পশ্চিম দিকের গোপুরম নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। মাদুরার একজন ধনী “হিন্দু মন্দিরের মধ্যস্থ অট্টালিকাগুলির সংস্কার সাধন করেন এবং অনেকগুলি নূতন গৃহও নিৰ্ম্মাণ করেন। রামেশ্বরের মন্দিরগুলি তিনটী প্রাকার দ্বারা বেষ্টিত। দক্ষিণ দিকের দ্বিতীয় প্রাকার তিরুমালাই সেতুপতি। ১৫৪০ অব্দে নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। পূর্বদিকের গোপুরমূও সম্পূর্ণ নিৰ্ম্মিত হয় নাই। মন্দিরের তৃতীয় প্রাকার ১৬৬২ অব্দে নিৰ্ম্মিত হয়। এই সকল বিবরণ থেকে জানতে পারা যায় যে, রামেশ্বরমের মন্দির একই সময়ে একজন সেতুপতির দ্বারা নিৰ্ম্মিত হয় নাই। ইহার নিৰ্ম্মাণ-কাৰ্য শেষ হতে প্ৰায় সাড়ে তিনশত বৎসর লেগেছিল। অন্যান্য স্থানের ধনী লোকে মন্দির নিৰ্ম্মাণে 臀 牌 SaS.