পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সব কথাই অশুদ্ধ হচ্ছিল। মহারাজ আর চুপ করে থাকতে না পেবে বললেন, তুমি চুপ কর, আমি মন্ত্র পাঠ করছি। এই বলে তিনি যথারীতি মন্ত্র পাঠ করলেন এবং উদাত্ত স্বরে স্তোত্র পাঠ করতে লাগলেন। त्रू’ থেকে প্রধান পুরোহিত মহাশয় এই ব্যাপার দেখে দৌড়ে এসে মহারাজাব স্তোত্ৰ পাঠের সঙ্গে যোগদান করলেন । এ লোকটা পণ্ডিত । যাক, এতে কিন্তু পুরোহিত ও পাণ্ডাদের প্রাপ্তিব ব্যাঘাত হয় নাই। বাইবে এসে মহারাজ হাসতে হাসতে বললেন “এরা এমনি কবেই যাত্রী ভুলিয়ে शांश।” মন্দির দেখা শেষ হোলো প্ৰায় সাড়ে দুশটায়। তখন রাও বাহাদুর সকলকে তঁর বাড়ীতে নিয়ে গেলেন ; তঁর আসবাবপত্র দেখালেন। সে সব খুব সামান্য হোলেও বৃদ্ধের আগ্রহে মহারাজ খুব যত্নের সঙ্গে সমস্ত দেখন্ধেন। পান সুপারী ও নারিকেল দিয়ে রাও বাহাদুর আমাদেব সকলকে অভ্যর্থনা করলেন এবং ঠিক সাড়ে তিনটাব সময় আমাদের নিয়ে আবার বের হবেন বলে বিদায় করলেন । আমরা ষ্টেসনে এলাম। বিশ্রাম-কক্ষে জল নেই, সেই স্নারটার পর জল আসবে। এদিকে ভয়ানক গ্রীষ্মে প্ৰাণ যায়-যায়। মাদুরায় খুব গ্রীষ্ম। তখন ঝামেশ্বর একটী যুবকের সাহায্যে ষ্টেসনের নিকট একটা ধৰ্ম্মশালায় মানের ব্যবস্থা করে এল । আমি আর রামেশ্বব সেখানে কাপড় গামছা নিয়ে গেলাম। সেই যুৱকটীকে পয়সা দিতে সে নারিকেলের তেল, আর এক রকম কি মাটী (বোধ হয় সাজী-মটী) কিনে এনে দিল। সর্বাঙ্গে নারিকেল তেল মেখে, কলের জলে একবার স্নান করে নিয়ে তার পর সেই মাটী সাবানের মত মাথায় গায়ে মেখে পুনরায় স্নান করা গেল, সব তেল উঠে গেল। শরীরও পরিষ্কার হোলাে। বেলা-দ্বিপ্রহরে রৌদ্রে উত্তপ্ত হোয়ে এই যে অনেকক্ষণ, telayS