পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। প্ৰবাদ এই যে, মরুপর্বতে যে চারিটী পবিত্ৰ বৃক্ষ ছিল, এই কদম্ব বৃক্ষটীি তাহার অন্যতম। কেমন করে এই স্থানটী লোকের দৃষ্টি প্রথমে আকর্ষণ করেছিল, তার কাহিনী বলছি। বৰ্ত্তমান মাদুরার কয়েক মাইল দূৰ্ববৰ্ত্তী মানাভুর গ্রামের ধনঞ্জয় নামে এক সওদাগর একদিন দূর-দেশ থেকে বাণিজ্য করে দেশে ফিরবার সময় এই কদম্ববনের মধ্যে উপস্থিত হন। তখন সন্ধ্যা সমাগত । সেদিন সোমবার। ধনঞ্জয় এই বনের মধ্যে প্ৰবেশ করে একস্থানে দেখেন যে, স্বয়ং ইন্দ্ৰ সেই বনমধ্যস্থ একটী স্বয়ন্ত শিবলিঙ্গের পূজা করছেন। এখানে যে এমন জাগ্ৰত দেবতা লুকিয়ে আছেন, এ কথা কেহ জানত না । কিন্তু দেবতাদের অজ্ঞাত ত কিছুই নেই। তাই স্বৰ্গ ত্যাগ করে ইন্দ্রদেব এই পবিত্র সোমবাসুরে স্বয়ত্ত্ব শিবের পূজা করতে এখানে এসেছিলেন। বণিক ধনঞ্জয় এই ব্যাপার দেখে পরদিন রাজার কাছে নিবেদন করলেন। রাজা তখন জঙ্গল কাটিয়ে স্থাপত্য-শিল্পশাস্ত্ৰ অনুমোদিত মন্দির ও অট্টালিকা প্ৰভৃতি নিৰ্ম্মাণ করে, এই সুন্দর নগর স্থাপিত করলেন। সহরটীি কুণ্ডলীকৃত সৰ্পের আকারে নিৰ্ম্মিত ; আর এ নিৰ্ম্মাণ-প্ৰণালী কোন স্থপতির মাথা থেকে আসে নাই; স্বয়ং সুন্দরেশ্বর রাজাকে এই সৰ্পের কুণ্ডলী আকারে নগর নিৰ্ম্মাণ করতে উপদেশ দেন ; এবং নগরের পরিধি কতদূর বিস্তৃত হবে, তা দেখাবার জন্য একটী সৰ্প প্রেরিত হয়। সেই সৰ্প যতখানি স্থান জুড়ে তার বিশাল দেহ চক্রাকারে রক্ষা করেছিল, নগরের সীমাও তদনুসারে নির্দিষ্ট হয়েছিল। এই ত গেল নগর নিৰ্ম্মাণের পৌরাণিক কাহিনী । তার পর আর এক কাহিনী শুনুন। এ দেবরাজ ইন্দ্রের স্বভাব-চরিত্র ভাল ছিল না, এ-কথা সকলেই জানেন। তিনি একবার দেবগুরু বৃহস্পতির বিশেষ বিরাগভাজন হন এবং গুরু তাহাকে অভিশাপ প্ৰদান RS