পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং তঁরই আদেশে সুন্দরেশ্বর মূৰ্ত্তি অষ্ট-ঐরাবতের উপর প্রতিষ্ঠিত হোলো । সেই হতে চৈত্র পূর্ণিমায় এখানে মহোৎসব হয় ; এখনও তেমনই সমারোহে উৎসৰ হয়ে থাকে। আরও একটা কথা । এই মাদুরাতেই পাণ্ড্য-রাজবংশে স্বয় দেবী কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন। র্তার নাম হয় মীনাক্ষি দেবী ; এবং সুন্দরেশ্বর এই মীনাক্ষি দেবীকে বিবাহ কবেন। তাই, মাদুরাব মন্দিরে যেমন সুন্দরেশ্বরের পূজা হয়, তেমনই দেবী মীনাক্ষরও পূজা মহাসমারোহে সম্পাদিত হয়। আমাদের ত দেখে মনে হোলো, মীনাক্ষিদেবীর মন্দিবেব শোভাই অধিক । মাদুরার সহস্ৰ-স্তম্ভ-মণ্ডপ এক আশ্চৰ্য্য দৃশ্য। ভারতবর্ষেব কোথাও এমন সুন্দর, এমন উৎকৃষ্ট কারুকাৰ্য্য-সমন্বিত বিশাল মণ্ডপ আর নাই । শিল্প-শাস্ত্ৰবিদেরা বলেন, এই মণ্ডপের প্রত্যেক স্তম্ভ, এমন কি প্ৰত্যেক প্রস্তরখণ্ড শিল্প-শাস্ত্রানুমোদিত নিয়ম অনুসারে গঠিত হয়েছিল । এই সুবিশাল মন্দিরের পাশ্বে একটী সরোবর আছে। তাহাব চারিদিকে ঘাট এবং সুপ্ৰশস্ত পথ ও চলন ( Corridor ) { s.ই চলন একটী প্রধান দ্রষ্টব্য স্থান ; কারণ এই চলনে সুন্দবেশ্বরের &োর্থটি লীলাকাহিনী বিভিন্ন ভাবে চিত্র দ্বারা উৎকীর্ণ হয়েছে। এই চৌষট্টি লীলাকাহিনীর অন্ততঃ দুই চারটা না বললে মাদুরার এই বিশাল মন্দিরের ও অধিষ্ঠিত দেবদেবীর মহিমা-কীৰ্ত্তন যে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কাহিনীগুলিও অতি সুন্দর ; সুতরাং অতি অল্প কথায় এই চৌষট্টিটী কাহিনীর অল্প কয়েকটী লিপিবদ্ধ করবার লোভ কিছুতেই সংবরণ করতে পারলাম না। কেমন করে মাদুর নগরী স্থাপিত হয়েছিল, তার কাহিনী পূর্বেই বলেছি; কিন্তু এই লীলা-কাহিনীর একটীতে আরও একটু বেশী জানতে পারা যায়। ধনঞ্জয় বণিক যে রাজার কাছে এসে কদম্ব-বনের মধ্যে ইন্দ্রের ShNe