পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবপূজার কথা নিবেদন করেছিলেন, সেই রাজার নাম কুলশেখর পাণ্ড্য। এই কাহিনীতে মাদুরা নামের উৎপত্তির কথাও আছে। রাজা নগর । স্থাপন করে, কি নাম দেবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না ; এমন সময় শিব তঁর নিকট উপস্থিত হ’য়ে তাঁর জটা থেকে কয়েক বিন্দু মধু ছিটিয়ে দিলেন ; আর সেই ঘটনা থেকেই নগরের নাম হােলো মধুরা। সেই মধুৱাই ক্রমে মাদুরা, শেষে মাদুরায় পরিণত হয়েছে। আর একটী লীলা-কাহিনীতে মীনাক্ষি দেবীর বিবাহের বিবরণ আছে। মীনাক্ষি দেবী যে পাণ্ড্য রাজবংশে কেন জন্মগ্রহণ করেন, তাহার ইতিহাস আছে। পাণ্ড্যরাজ মলয়ধ্বজ ঢোলবংশীয় রাজা শূরসেনের কন্যাকে বিবাহ করেন । বহুদিন গত হলেও যখন তার কোন সন্তান হোলো না, তখন তিনি পুল-কামেষ্টি যজ্ঞ আরম্ভ করেন। এই যজ্ঞের কুণ্ড হতে মীনাক্ষিদেবী বহির্গত হন এবং তার পর সুন্দবেশ্বরের সঙ্গে তঁর বিবাহ হয়, এ কথা পূর্বেই বলেছি। সেই বিবাহে এত দ্রব্য-সামগ্ৰী আন্তরিত হয়েছিল যে, বিবাহ শেষেও অনেক দ্রব্য বেঁচে গেল । তখন মীনাক্ষি দেবী শিবের সহচর বামন গুপ্তধারাকে ডেকে পাঠালেন । ইনি এমনই সুভোক্ত ছিলেন যে, যত আহাৰ্য্য দ্রব্য ছিল, তার সব আহার করেও তঁাব ক্ষুধা নিবৃত্তি হোলো না। তখন দেবী অন্নপূৰ্ণেশ্বরী মূৰ্ত্তিতে আবিভূতি হয়ে বামনের দুৰ্জয় ক্ষুধার অন্ন পরিবেশন করেন। এখনও পাণ্ডারা মন্দিরের মণ্ডপের পাশ্বে একটা গৰ্ত্ত দেখিয়ে বলে যে, এই অন্ন-খুলিতে দেবী অন্নপূর্ণ বামনভোজনের জন্য "অন্ন পাক করে ঢেলে রেখেছিলেন । আর একটা কাহিনীতে আছে যে, দেবী মীনাক্ষির মাত কাঞ্চনমালার সঙ্গে দুৰ্ব্বাসা ঋষির সমুদ্র-স্নানের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে কথাবাৰ্ত্ত হচ্ছিল। সুন্দরেশ্বর এই কথা শুনে মাদুরার মন্দিরের পাশ্বে সপ্ত সমুদ্রের জল আসবার জন্য ঝরণা করে দিলেন। এজুকাডাল নামক যে সরোবর এখনও DIAGN