পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর সেখানে এক-দফা দেবদেবীর মন্দির, মণ্ডপ, আর ছোট ছোট অসংখ্য কক্ষ। এমন বহু দেবদেবী সেই অন্ধকার পাহাড়ের বুকের মধ্যে-প্ৰদীপ জেলে যাত্রীর কাছে পূজা ও দক্ষিণ পাবার আশায় বসে আছেন। সকলেরই মন্দির আছে, সকলেরই মণ্ডপ আছে। সবাই বড় বড় দেবতা, কেউ কম নন। এই তলাব সমস্ত দেৱদেবীকে যথাযোগ্য অভ্যর্থনা করে, মশালের সাহায্যে আর একতলা নীচে নােমলাম, সেখানেও বহু দেবদেবী মন্দির, চত্বর,-ঠিক উপবেব তলার মত । এটুকু আমব হেঁটেই নােমলাম। এই সব দেখা শেষ করতে প্ৰায় সাড়ে নয়টা বেজে গেল। এই তলার নীচে আর তলা নেই। সুতরাং আমবা তিনজন আবার দোলায় উঠে নামতে লাগলাম। সমতলে এসে পাহাড়ের চাবিপাশে যে সব দেবতা ছিলেন, তঁদেব দেখলাম। মহারাজ মুক্তহস্তে সকলকে দান করলেন। সেখানে যে-ভাবে যত প্রার্থী উপস্থিত ছিল, কেউ বাদ গেল না,-দেবদেবী ত নয়ই। তিনখানা দোলা গিয়েছিল, কিন্তু ৮খানি দোলাব ৬৪ জন বাহককে ৬৪২ টাকা দেওয়া হোলো। পাণ্ডা, মাহুত, সহিস, অসংখ্য তৃত্য, অতিথি-অভ্যাগত কেহই নিরাশ হোলো না -এমন কি হাতী, ঘোড়া, গরু প্ৰভৃতিরও পেট ভ’রে খাবার ব্যবস্থা হোলো । সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা ত্ৰিচিনোপলীর ইতিহাস-বিখ্যাত মহম্মদ আলির সমাধি-মন্দিব দেখতে গেলাম। এখানে একটা মন্দির ছিল ; তাতে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত ছিল। একজন সাধুব তত্ত্বাবধানে এই লিঙ্গমূৰ্ত্তির যথারীতি পূজা হোতে। মুসলমান নবাবেরা সেই মন্দিরের শিবলিঙ্গের উপরই মহম্মদ আলির সমাধি দিলেন। সাধু আর কি করবেন ; একটা প্রার্থনা মাত্র জানালেন যে, রোজ যেন ঐ মন্দিরে একটী ঘুতেব প্ৰদীপ জ্বালা হয়। এই সামান্য অনুরোধ এখনও রক্ষিত হচ্চে, NqNaVS<o