পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশী-বাদন, কোনটায় কালীয়-দমন ; কিন্তু, একটাও দেখলাম না। রাসলীলা বা ঐ রকমের সখীদের নিয়ে ক্রীড়া। ছবিগুলি যারা তৈরী করেছে, তারা খুব ওস্তাদ। এরও আশে-পাশে অনেক মন্দির, নাটমন্দির মণ্ডপ ইত্যাদি। আমরা রোদে একেবারে ক্লান্ত। আর হাঁটতে-হাঁটতে পা বৃথা হয়ে গিয়েছে। সব দেবতার মন্দির ঘুরে দেখত্রে সময়ও কম লাগে না। এমন কত যে বড় মন্দির দেখা গেল। একটী থেকে আর একটীতে যেতে গেলে রৌদ্রতপ্ত পাথরেব উপর দিয়ে, আর না হয় ততোধিক উত্তপ্ত বালুকরোশির উপর দিয়ে। কেহই আর খালি পায়ে চলতে পারছিনে। অথচ “Maharaja, this side please” “Legist অনুগ্রহ কবে @झे দিকে उष्मांश्न' বললেই সবাই মিলে সেই দিকে যেতে হচ্চে। মহারাজও বলেন না যে, “আর চলতে পারিনে, ক্ষমা কর” ; আমরাও সে কথা মুখে আনতে পারিনে। এদিকে মালা-চন্দন, দেবদেবীর রুলি ভৰ্ম্মে আমাদের কাপড় জাম একেবারে মলিন হয়ে গেল ; মহারাজের বহুমূল্য পোষাক রঞ্জিত হয়ে গেল। তখন সাড়ে এগারটা। আমাদের আটজনকে আবার আয়েঙ্গার মহাশয়দের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ খেতে হবে। তাদের বাড়ী শ্ৰীরঙ্গমূ মন্দিরের সিংহদ্বারের সম্মুখেই। কিন্তু, তখন কার সাধ্য নিমন্ত্রণে যায়। ষ্টেসনে গিয়ে কাপড়-চোপড় ছেড়ে আবার মান না করে কিছুতেই আসা যায় না। তঁদের সেই কথা বলে আমরা যাত্রা করলাম। কুড়ি মিনিটে ষ্টেসনে পৌছিলাম। বিশ্রাম আর করা হোলো না, মোটরেই যা বিশ্রাম হয়েছিল, শরীরের ঘামও শুকিয়েছিল। ষ্ট্রেসনে এয়ে স্নান করে, কাপড় বদল করে, বারটা বাজাবার দুই এক মিনিট পরে আবার মেই কাবেরী পার হয়ে শ্ৰীরঙ্গমে আয়েঙ্গার মহাশয়দের বাড়ী গেলাম। মাননীয় শ্ৰীযুক্ত রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার মহাশয় সেই দিন এসে পৌঁছেছিলেন। মন্দিরের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। S96?