পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা প্ৰায় সাড়ে বারটার সময় আয়েঙ্গার মহাশয়দের বাড়ী পৌছিলাম। সেখানে আর বিশ্রাম করা হোলো না। মিনিট দুইয়ের মধ্যেই আহারের ডাক পড়ল। গিয়ে দেখি, সকলের জন্যই কাঠের পিাড়ি পাতা, তার সম্মুখেই কলাপাত ; তবে জল দিয়েছিল রূপার ছোট ছোট গ্লাসে। পাতে কিছুই সাজানো ছিল না। আমরা সবাই এক সাবে বসলাম। পাশ্বের বারাণ্ডায় আরও কয়েকজন ব্ৰাহ্মণ ( ওই দেশী) বসলেন। অন্য আসন নেই, সব কাঠেব পিড়ি। আমাদেব সম্মুখেই একখানি গালিচাতে বসে একজন ওস্তাদ সেতাব বাজাতে লাগলেন। এদিকে পরিবেশনও আরম্ভ হোলো। ভাত, তরকারী পােচ সাত রকম, কুমড়াব ঘণ্ট, নানা রকম শাক ভাজা, টক, ক্ষীবের মতই যেন কি, দুই এক বকম পিঠে, এক রকম মিষ্টান্ন, আব্ব লঙ্কা ও তেঁতুল দিয়ে ঝোল-বোধ হয় সেটা অম্বল। ললিত পূর্বেই নিষেধ কবে দিয়েছিল যে, লঙ্কা যেন বেশী দৈওয়া না হয়। কিন্তু, এই যদি কম হয়, তা হলে বেশী যে কি তা বলতে পারিনে। আমি ত সুধু ঘি দিয়ে ভাত মেখে কুমড়ার ঘণ্ট দিয়ে যা দুটী খেয়েছিলুম। মহাবাজও বেবিয়ে এসে বললেন, তিনিও ঠিক তাই খেয়েছেন। আর সবাই সেই শক্ত মিষ্টান্ন। পিঠে ইত্যাদি পেটেব জ্বালায় খেয়েছিলেন ; কিন্তু তারকারী, কি ডাল, কি লঙ্কার অম্বল কেউ মুখে দিতে পাবেন নাই । মহারাজের মত অতিথিকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে; আর যিনি নিমন্ত্রণ করেছেন, তিনিও বড় জমিদার, শিক্ষিত, সঙ্গতিপন্ন। সুতরাং তঁরা যা আয়োজন করেছিলেন, তা যে সে-অঞ্চলের সর্বোৎকৃষ্ট খাদ্য, তা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু, আমরা তা মোটেই খেতে পারলাম না। আর সে যে ধীরে ধীরে পরিবেশন, আর সেই লঙ্কা-তেঁতুলের অম্বল, সে দেশী ব্ৰাহ্মণ মহাশয়ের বার বার চেয়ে নিয়ে খেতে লাগলেন, তাতে আমাদের গাড়ী ফেল করবার সম্ভাবনা হোলো । আয়েঙ্গারের শ্রেষ্ঠ ব্ৰাহ্মণ, তাদের Sevo