পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীরঙ্গমের প্রধান পৰ্ব্ব বৈকুণ্ঠ একাদশী। প্রতি মাসে দুইটী একাদ; তা তলে বছৰে চব্বিশটী একাদশী হয়। এই চব্বিশ একাদশীতেই এখানে পূজার বিশেষ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এত তিথি থাকতে একাদশীব দিনই উৎসব হয় এই কারণে যে, একাদশী দেবী এই দিনে রাক্ষসদের হাত থেকে এই স্তানটীকে উদ্ধার করেছিলেন। ব্যাপারটা এই :-মুবাণ নামে এক দৈত্য এক সময়ে চন্দ্রাবতী রাজ্যের রাজা ছিলেন। তিনি ছোটখাটো দেবগণের উপর বড়ই অত্যাচার করতেন। সে সময় বিষ্ণু শয়নে ছিলেন ; সুতরাদেবতাদের আবেদন তার কাছে পৌছিত না । কিন্তু তিনি শয়নে থাকলেও ত তাব সৃষ্টির লোপ হতে পাবে না । তিনি যদিও জাগলেন না, কিন্তু তার দেহ থেকে এক জ্যোতিৰ্ম্ময়ী দেবীব আবিভাব হোলো । এই দেবী অসুরদিগকে পরাস্ত করে দেশে শান্তি স্থাপিত করলেন। ব্যাপারটা একাদশার দিন ঘটেছিল। তখন কৃতজ্ঞ দেবগণ বিষ্ণুর কাছে প্ৰাৰ্থনা জানালেন যে, তিনি যেন এই দেবীর একাদশী দেবী নামকৰণ মঞ্জব করেন। আর মাসের মধ্যে দুইটি একাদশীতে এই দেবীকেই যেন সকল দেব-দেবীর উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিষ্ণু তাতেই সন্মত হলেন। সেই থেকে এখন পৰ্য্যন্ত এই একাদশা উৎসব হয়ে আসছে। এখানকার প্রধান দেবতা শ্ৰীরঙ্গনাথের কথা পূর্বেই বলেছি। দক্ষিণ অঞ্চলে শিবদুর্গার মন্দিরই বেশী এবং তঁদের পূজা-অৰ্চনাই বিশেষ সমারোহের সঙ্গে সম্পন্ন হয়ে থাকে। কেবল শ্ৰীরঙ্গমে এবং আরও দুই চারটা স্থানে বিষ্ণুর উপাসনা হয়। আর, কনজিভরমে বা কান্ধীতে শিব ও বিষ্ণু দুইয়েরই পৃথক পৃথক পল্লীতে মন্দির আছে। সে কথা পরে যথাস্থানে বলব। শ্ৰীরঙ্গমে শিব-মন্দির নেই, তা নয় ; কিন্তু শ্ৰীরঙ্গনাথই শ্ৰীরঙ্গমের প্রধান উপাস্য দেবতা ; এবং তঁরই নামানুসারে এ স্থানের নাম শ্ৰীরঙ্গম হয়েছে। এখানে রামানুজ সম্প্রদায়ের প্রভাব এক সময়ে খুব বেশী 带 動 SS No