পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল, কারণ শ্ৰী রামানুজাচাৰ্য্য এই শ্ৰীরঙ্গমের মন্দিরের কর্তৃত্ব-ভার গ্রহণ করেছিলেন। এখনও এখানে ঐ সম্প্রদায়ের প্রতিপত্তি লোপ পায় নাই ৩রা অক্টোবর, ১৭ই আশ্বিন, শনিবার প্ৰাতঃকালে ৬-১১ মিনিটের সময় পাচদিনের তীর্থ-ভ্ৰমণ শেষ করে, বাঙ্গালোর ক্যানটনমেণ্ট ষ্টেসনে পৌছিলাম। ষ্টেসনে মহারাজের দুইখানি মোটর ছিল; লোকজন উপস্থিত ছিল। আমরা গাড়ী থেকে নেমেই জিনিষপত্র সব ভৃত্যদের জিন্ম করে দিয়ে মোটরে উঠে, কুমারাপার্কে ফিরে এলাম। গরুর গাড়ী বোঝাই হয়ে একটু পরেই মালপত্র এল। আমরা তাম্বুতে পৌঁছেই দেখি চা একেবারে টেবিলে প্ৰস্তুত রয়েছে। তখন হাত-পা ছড়িয়ে ব’সে চায়ের বাটিতে এক চুমুক দিয়ে বললাম ‘আঃ, কি আরাম !” তীর্থভ্ৰমণ এক দফা শেষ হয়ে গেল । মহারাজ সেই দিনই আমাদের সকলকে একটী করে ছোট শঙ্খ উপহার দিলেন । আমরা আর র্তার এই অনুগ্রহের জন্য কি উপহার দিব ? স্থামাদের মত দরিদ্রের হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা ছাড়া আর কি আছে ? আমরা সকৃতজ্ঞ হৃদয়ে তাকে নীরবে অভিবাদন করলাম। তিনি আমাদিগকে স্নেহালিঙ্গনবদ্ধ ক’রে র্তার অপার মেহের পরিচয় প্ৰদান করলেন । আজ আর বার হওয়া নয়,-একেবারে বিশ্রাম । কিন্তু ভগবান তীৰ্থ-ভ্ৰমণের এমন আনন্দ বেশীক্ষণ উপলব্ধি করতে দিলেন না। আমাদের সকলের চিঠি এখানে অপেক্ষা করছিল। শ্ৰীমান ললিত আফিস-ঘরে গিয়েই সব চিঠি বিলি করে দিয়ে নিজের একখানি চিঠি খুলেই দেখে তার সর্বনাশ হোয়ে গিয়েছে। তার কনিষ্ঠ ভাই এগার দিনের জ্বরে টাইফয়েড হয়ে বিজয়ার দিন (রবিবার) রাত্রি ৯টায় প্ৰাণত্যাগ করেছে।