পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ললিত একেবারে অধীর হয়ে পড়ল। তখন কোথায় আমাদের বিশ্রাম । সারাদিন ঘোর বিষন্নতার মধ্যে কেটে গেল। একবারও কেহ ঘরের বের रुळांभ न । ৪ঠা অক্টোবর, ১৮ই আশ্বিন, রবিবার আজও সারাদিন কোথাও যাই নাই। সন্ধ্যার সময় পদব্রজে মাইল তিনেক ঘুরে আসা গেল। অনেকগুলি পত্র লেখাও হোলো। তীৰ্থ শেষ কবে এসে কেমন যেন একটা অবসাদ আমাদের আচ্ছন্ন করে ফেলল । ৫ই অক্টোবর, ১৯শে আশ্বিন, সোমবার আজ আমাদের দেশে ফিরে যাওয়ার দিন স্তিব হোলো । ৯ই অক্টোবর মহারাজ তিনটার গাড়ীতে মহিষ্ণুর যাবেন, আমরা রাত ৮-৫০ মেল গাড়ীতে দেশে যাত্রা করব। আমাদের প্রোগ্রাম ঠিক হয়ে গিয়েছে, মহারাজও তাতে সন্মতি দিয়েছেন । বেলা বাবটার সময় একখানি গাড়ী নিয়ে রামেশ্বর ও আমি, রামেশ্বরের এক বন্ধু শ্ৰীযুক্ত বামস্বামী মুদলিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে ২ নং স্পেন্সার বোডে গিয়েছিলাম। এটা ক্যানটনমেণ্টের কাছে। তিনি বাড়ীতে ছিলেন না, মাদ্রাজ গিয়েছেন। আমরা তখন ক্যানটনমেন্ট বাজারে গেলাম। কাপড় ভাল পাওয়া গেল না। সাড়ী সব ১৬ হাত লম্বা, তাও তেমন ভাল নয়। একখানি ছোট চাদব দীর করলাম, সাড়ে চার টাকা চায়। আমি সাড়ে তিন টাকা বললাম, দোকানদার বিক্রয় করল না ; অথচ ঐ দরেই আমি ওর চাইতে ভাল চাদর মাদুরায় কিনেছি। সুতরাং কিছুই কেনা হােলো না। তিনটার সময় ক্যান্টনমেন্টের রাস্তাগুলো ঘুরে ঘরে ফিরে এলাম। বিকালে খুব মেঘ দেখে আর বের হলাম না, বৃষ্টি অবশ্য হয় নাই। এ দিনটা পূর্বের দুইদিনের মত অমনিই কেটে গেল। o St SqSRP*