পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘অথবা” দিয়ে গাড়ীর কথা বলা হয়েছে। আগের ‘বাসে’ আসতে পারলে সুবিধা এই হবে, যে আমরা কনজিভরমে অপরাহ্র ৩-১৫ মিনিটে পৌছিতে পারব এবং আশ্রয়স্থান ঠিক করে ঐ অপরাহেই কিছু দেখেও নিতে পারব। পরের ট্রেণে এলে রাত আটটায় অজ্ঞাত স্থানে নামতে হবে এবং পরদিন তাড়াতাড়ি সকাল বেলায় সব দেখে ১৯১–৫৬ মিনিটের ট্রেণে বেরুতে হবে । তার পর, ভয় হোলো পক্ষীতীর্থে গিয়ে তিন শত সিড়ি উঠতে-নামতে পারব ত। বিশেষ সাড়ে এগারটার সময় পাহাড়ের মাথায় উঠতেই হবে, কারণ সাড়ে এগারটা থেকে বারটার মধ্যে পক্ষী আসেন। পক্ষীর আগমন দেখেই তিন শত সিড়ি এক ঘণ্টার মধ্যে নেমে একটার “বাস’ ধরতে পারলে সব দিকে সুবিধা। দেখি কি হয়। আর যদি পক্ষীতীর্থ থেকে কনজিভরমের বাস থাকে, তা হলে বোধ হয় একটু ধীরে সিঁড়ি নামলেও চলবে। সেখানে না গেলে কিছুই ঠিক হচ্চে না । এইদিন বিকালে একখানি গাড়ী নিয়ে পথে পথে বেড়িয়ে এলাম। মহিষ্ণুর মহারাজার প্রাসাদ দেখতে গিয়েছিলাম। বাইরে থেকে দেখে এলাম, কারণ পাশ না হলে ভিতরে যেতে দেয় না । রাত প্ৰায় নয়টার সময় মহারাজ আমাকে ডেকে পাঠালেন । এত রাত্রে এমন কি দরকার, বুঝতে না পেরে তাড়াতাড়ি গেলাম। মহারাজ আমাদের দেশে ফিরবার সম্বন্ধে উপদেশ দিতে আরম্ভ করলেন। মাদ্রাজে পৌছে যেন টেলিগ্ৰাফ করি, কলিকাতায় পৌছেও যেন টেলিগ্ৰাফ করি ; রাস্তায় যেন খুব সাবধানে যাই, রাস্তায় যেন কোথাও জল না খাই, সোড লিমনেড খাই, মাদ্রাজী রান্না যেন না খাই, ভাল হোটেলে যেন থাকি, ইত্যাদি ইত্যাদি। পরমাত্মীয় ব্যতীত এমন উদ্বিগ্ন হয়ে উপদেশ * - কেউ কাউকে দেন না। SR \3OR.