পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষীভীৰ্থ পক্ষীতীর্থ পাহাড়ের নাম। পাহাড়ের পাদদেশে যে গ্রাম, তাহার নাম তিরুপালীকুন্দ্রম। দূর হইতে পাহাড়ের উপর মন্দির দেখলাম। ৪৫ মিনিটে চিঙ্গলীপুট থেকে পক্ষীতীর্থে বাস পৌছিল। বাস্তা মোট ৯ মাইল। যেমন গরম, তেমনি ধূলা। আমার ভয় হয়েছিল, এই রৌদ্রে এমন গরমে সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠতে পারব কি না । সিড়িও কম নয়। আগে শুনেছিলাম তিনশত সিঁড়ি, এখানে শুনলাম ৫৬০ । যাক, বাস থেকে নামতেই একটা ছোকরা কুলী পাওয়া গেল। আমরা পূৰ্ব্বে স্থির করেছিলাম জিনিষপত্ৰ বাসের মাথাতেই রাখব, নামাব না। কিন্তু বাসওয়ালা তখনই চিঙ্গলীপুট চলে যাবে। একটার সময় আমরা সে বাসে চিঙ্গলীপুট ফিরব, তখন এখানিও আসতে পারে, অপর একখানি আছে, সেও আসতে পারে। এ অবস্থায় সেই বাসের মাথায় জিনিষ রাখা নিরাপদ নয়। আরও কারণ এই যে, যে বাস পক্ষীতীর্থ থেকে একটার সময় ছাড়বে, সে একটা-পঞ্চাশ মিনিটে চিঙ্গলীপুট পৌছিবে। আমাদের ট্ৰেণ দুইটার ঠিক দশ মিনিট পরে ছাড়বে। ঐ ট্ৰেণ ধরতে না পারলে পরের ট্ৰেণ ধরতে হবে সন্ধ্যা ৬-৩৫। তাতে অসুবিধা এই যে কনজীভরমে ৭-৪৮ পৌছিতে হবে। অজানা স্থানে রাত্রিতে পৌছান। যাক, শেষে কুলী বালক বলল যে, যেখান থেকে পাহাড়ের সিড়ি আরম্ভ, তাহারই পাশে একটা বড় বাড়ী আছে; তাতে ছোট ছোট অনেক ঘর আছে। আট আনা ভাড়া দিলে তাঁহারই একটী ঘরে জিনিষ রেখে তালা বন্ধ করে গেলেই হবে। সেই ভাল মনে করে ܧܘ ܓ