পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনাবৃত মস্তকে আমাদের সম্মুখে এলেন, মাও এলেন। সম্পূর্ণ অপরিচিত পুরুষের সম্মুখে আসতে এরা একটুও দ্বিধা বা সঙ্কোচ বােধ করলেন না। আমরা পাণ্ডার বাড়ীতে কূপে স্নান করে নিলাম। বিষ্ণুর ভোগের জন্য পাঁচ টাকা দিলাম। ভোগ হয়ে গেলে খিচুড়া প্ৰসাদ আসবে, তাই আহার করতে হবে। পাণ্ডা বাড়ীতে কিছু চাটুনী প্ৰস্তুত করে দেবে। আমরা তখন বিষ্ণু-মন্দির দেখতে গেলাম। বরদারাজের মন্দির ও অন্যান্য মন্দিব দেখে সন্ধ্যার পর পাণ্ডার বাড়ীতে ফিরলাম। এখানে যেমন ভয়ানক গরম, আল তেমনি মশা । সামান্য বিছানা সঙ্গে, মশারি আগেই কলিকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রায় ৯টার সময় প্ৰসাদ এল। সুধু খিচুড়ী, আর কিছু না। খিচুড়ী বেশ ভাল। পণ্ডি যে চাটনী দিল, কার সাধ্য তা মুখে দেয়, এমন ঝাল। কি করা যায়, তাই খাওয়া গেল। তার পর ঘরের মধ্যে বিছানা পেতে রামেশ্বর শয়ন করলেন, আমি বারাষ্টদায় বিছানা পাতলাম ; কিন্তু মশা আর গরম একেবারে অতিম্ভ করে তুলল। সৌভাগ্যক্রমে রাত্রিতে খুব বৃষ্টি এল। আমি যেখানে ছিলাম, সেখানে জল লাগল না, সুতরাং সেখানেই থাকলাম। এখানেও বোধ হোলো ব্যভিচারের স্রোত আছে। পাণ্ডার বাড়ীতে রামেশ্বরপ্রসাদ তার একটু বিশেষ আভাস পেয়েছিলেন। মহারাজের সঙ্গে যেখানে-যেখানে গিয়েছি, সেখানে কিছুই নজরে পড়ে নাই; সমারোহে ও আড়ম্বরে সব অদৃশ্য হ’য়েছিল ; এমন কি, এক মাদুরা ছাড়া আর কোথাও দেবদাসীদেরও দর্শন লাভ হয় নাই। এখানে আমরা সাধারণ তীর্থযাত্রী ; তাই এ-সব নজরে পড়ল। যাক, অনিদ্রায় রাত্ৰি কেটে গেল। ১১ই অক্টোবর, ২৫শে আশ্বিন, রবিবারআজ পূৰ্বাহ ১১-৫৪ মিনিটের ট্রেণে আমরা কনজিভরম ত্যাগ করে মাদ্রাজে যাব। প্ৰাতঃকালে উঠেই ওখান থেকে তিন মাইল দূরে শিব-কাঞ্চী S2,8 SR