পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাকীর মন্দিরাদিতে দেখতে পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের রীতি ও শাস্ত্ৰ অনুসারে মন্দিরাদি নিৰ্ম্মিত হয়েছিল। এমন এক সময় ছিল, যখন এই নগরের নানা স্থানে ১০৮টী শিবের মন্দির ও ১৮টীি ङ्गिन्तिद्र ছিল। এখন কিন্তু আমরা আত মন্দির দেখতে পেলাম না ; তবে নানা কারণে অনেক মন্দির যে স্তুপে পরিণত হয়েছে, তা বেশ বুঝতে পারা গেল । পূর্বেই বলেছি, কাঞ্চীর অবস্থা যেন এখন অনেকটা মলিন হয়েছে। অথচ খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে যখন চৈনিক পরিব্রাজক হুয়েন-থ-সা” ভারত-ভ্ৰমণে আগমন কবেন, তখন তিনি দেখেছিলেন যে, কাঞ্চীতে বৌদ্ধ-প্রভাব সে সময় অধিক ছিল। তিনি কাঞ্চীতে এসে অনেক সজঘারাম ও বহু বৌদ্ধ সন্ন্যাসী দেখেছিলেন। তখন কাঞ্চী দ্রাবিড় রাজ্যের রাজধানী ছিল ; নগবেব পবিধি ছয় মাইল ছিল। আন রাজ্যের অধিবাসীগণ সাহসী, বিদ্বান ও ধৰ্ম্মপরায়ণ ছিল । হুয়েন-থ-সা র্তার ভ্রমণ-কাহিনীতে বলে গিয়েছেন যে, ভারতবর্ষে তখন শৌৰ্য্য, বীৰ্য্য ও সাধনায় কাঞ্চীর সমকক্ষ আর কোন নগর ছিল না । তার প’ , ‘শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্যের শৈব প্ৰভাবে ও শ্ৰী রামানুজাচাৰ্য্যেবা বৈষ্ণব প্ৰভাৱে, 'কাঞ্চী থেকে বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়েব প্রাধান্য লোপ পেয়েছিল ; এখন তাদের চিত্ন কেৰল কতকগুলি মন্দিরের নিৰ্ম্মাণ-কৌশলে দৃষ্ট হয়ে থাকে। পূর্বে শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্যের মঠ কামকোষ্ঠী পিঠ বিষ্ণু কাঞ্চীতে বরদারাজস্বামী মন্দিরের পাশ্বে প্রতিষ্ঠিত ছিল । এ ১৬৮৬ অব্দের কথা । তার পর, অনেক দিন পরে শিব-কাঞ্চীতে শঙ্কর-মঠ প্ৰতিষ্ঠিত হয়। কামাক্ষী মন্দিবই শিব-কাঞ্চীর সর্বপ্রধান মন্দির এবং তঁহার পূজা এখনও যথাযোগ্য সমারোহে হয়ে থাকে। যখন এই মন্দিরের বড়ই দুরবস্থা হয়, সেই সময় শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্য। এখানে আগমন করে, এই মন্দিবে। Seler