পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ই অক্টোবর, ২৮শে আশ্বিন, বুধবার সারা রাত সমানভাবে বৃষ্টি চলেছে, চারিদিক জলে ডুবে গেছে। একখানি ইংরাজী কাগজ কিনে পড়লাম, কটকে সাত দিন সমানে জল হচ্ছে। * আজ মধ্যান্ত্রে রেলের ভোজনাগার থেকে ভাত ও নিরামিষ তারকারী এনে খেলাম, সেলামী দিতে হল দশ আনা । রাত্ৰিতে সামান্য জলখাবার খেয়েই কাটালাম। বৃষ্টির আর বিরাম নেই। দুইটার সময় ওয়ালটেয়াব থেকে একটী ভদ্রলোক উঠলেন ; তিনি খড়গপুর যাবেন। রাজমন্দ্রীর্তে যিনি নেমে গিয়েছিলেন, তারই স্থান এই নবাগত ভদ্রলোকটী অধিকার করলেন । আমরা যে চা’র জন ছিলাম, তাই হলাম। ১৫ই অক্টোবর, ২৯শে আশ্বিন, বৃহস্পতিবার— "সকালে সুধু চা পান। দশটার সময় গাড়ী খড়গপুরে পৌছিলে কিছু পুৱী মিঠাই দিয়ে জলযোগ করা গেল। তাহার পর হাবড়ায় পৌছিলাম, বেলা ১টা ৫ মিনিটে। সেই যে বৃষ্টি মাথায় করে মাদ্রাজ থেকে বেরিয়েছিলাম, সে বৃষ্টি আর থামে নাই, সমান ভাবে আছে। হাবড়া থেকে একখানি ট্যাক্সি নিয়ে প্ৰথমে রামেশ্বরের বাসায় গেলাম । সেখানে আমাদের জিনিষপত্র পূর্বেই এসেছিল। সেগুলি তুলে নিয়ে সেই ট্যাক্সিতেই বাসায় এলাম। অপরাহ দুইটার সময়। তার পর ? তার পর আর কি,-সেই থোড়া-বড়ি-খাড়া, আর খাড়া বড়ি থোড় ;- সেই সংসার সেবা, সেই বিষয়-কৰ্ম্ম! আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবেরা সকলেই বললেন, এই সুদীর্ঘ ভ্ৰমণে আমার শরীর দুর্বল ত হয়-ই নাই, বরঞ্চ ভালই হয়েছে। এর জন্য যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হয়, তা হােলে সে আমার শরীরের কাছে নয় ; সে কৃতজ্ঞতা বৰ্দ্ধমানের See