পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখছেন, ঐট পার হলেই আমরা আদিয়ারে পৌছিব। তখন আর আমি চোখ বুজে থাকতে পারলাম না। আদিয়ারের নাম যে সৰ্ব্বদা শুনি ; সেখানেই যে থিয়াসফিক্যাল সোসাইটির প্রধান কেন্দ্ৰ, সেখানেই যে রামকৃষ্ণ মিশনের বড় আশ্রম। সুতরাং শরীরের জড়তা টেনে ফেলে দিয়ে চোখ চাইলাম। তখন মোটর ব্রিজের উপর পৌছে নাই। ধিরাজকুমার বললেন, ঐ যে দূরে গীর্জাটা দেখছেন, ঐট সেণ্ট থোম গীৰ্জা। এ নাম যে ইতিহাসে পড়েছি। এর সঙ্গে যে মাদ্রাজের / ইতিহাস জড়িত। কতকাল পূর্বে এক দেবপ্রতিম খৃষ্টান সাধুব পবিত্র অবদানে যে ঐ গীৰ্জা সুরভিত। সে ইতিহাস, সে কাহিনী যে কণ্ঠস্থ হয়ে আছে। কিন্তু, এখন ত সে সব কথা বললে চলছে না,—এখন ধিরাজকুমার বাহাদুরের প্রদর্শিত বায়োস্কোপই দেখি। কিন্তু, এ যে বায়োস্কোপেরও বাড়া—তারা। তবুও আধ-মিনিট একমিনিট ছবিটা দেখায় ; কিন্তু এ দ্রুতগামী মোটব অতটুকুও অপেক্ষা করে না। উপায় নাই, তাড়াতাড়ি স্নান সেরে এসে আহাবাদি করে ওঁদের পৌণে একটার গাড়ীতে চড়িয়ে দিতে হবে। ব্রিজের উপর মোটর উঠলেই ধিরাজকুমার বললেন, ঐ যে দেখছেন সুন্দর বাড়ীটা, ঐটা থিয়াসফিক্যাল সোসাইটীর বাড়ী। অমন অনেকগুলি বাড়ী ঐ হাতার মধ্যে আছে, বাগানের গাছপালায় ঢেকে বেখেছে। এই দেখুন সোসাইটির প্রবেশ-দ্বার। বলতে বলতেই চুপ করে আর একদিকে অঙ্গুলি-নিৰ্দেশ করে বললেন, ঐ-ঐখানে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রম। ব্যস, কেমন সুন্দর দেখা হোলো। এদিকে আমাদের মোটরের বেগ কিন্তু কমছে না। ;-টিপ্লিকেন গেল, মাইলাপুর গেল, আদিয়ার গেল,- শেষে একেবাবে পলীপথে এসে পৌছিলাম। বায়ে অদূরে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে, অথচ আমাদের গতিবেগ আর থামে না। একটু পরেই একেবারে সমুদ্রতীরে এক নির্জন বালুকাময় স্থানে গিয়ে আমাদের মোটর হাফ SR SR