পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাড়ল। সেখানে নেমে বালুকাময় তীরভূমি অতিক্রম করে জলের কাছে 605 ईद । আমরা যেখানে নােমলাম, তার সুমুখেই একটা অনতি-উচ্চ ৰালিয়াড়ী ছিল। তাই আমাদের দূর-দৃষ্টি রোধ হয়েছিল। ধিরাজকুমার বললেন, ঐ বালিয়াড়ীর ও-পাশেই একেবারে সমুদ্রের উপকূলে অনেকগুলো সুন্দর কাঠের ক্যাবিন আছে। সেখানে কাপড়-চোপড় ছেড়ে স্নান-বস্ত্ৰ প’রে নাইতে যেতে হয়। তার পর ফিরে এসে ক্যাবিনে গিয়ে কাপড় ছেড়ে ও প্রসাধন শেষ করে বাড়ী যেতে হয়। এই স্থানটা নিৰ্জন দেখে মাদ্রাজ মিউনিসিপালিটী এখানেই সমুদ্র-স্নানের আশ্রম করেছেন। তার কাছেই শুনলাম, সকালবেলা বড়-একটা কেউ নাইতে আসেন না, অপরাহে আসেন। আমরা বালিয়াড়ী অতিক্রম করে একেবারে সমুদ্রতীরে উপস্থিত জুলাম। এই সেই সমুদ্র। এ ত আমার বহু দিন পূর্বের পরিচিত সমুদ্র নয়। ৪২ বৎসর আগে করাচী বন্দরে যে সমুদ্র আমি দেখেছিলাম, তার কি এতই পরিবর্তন হয়েছে ? কৈ, “মহাসিন্ধুর ওপার থেকে ত সঙ্গীত ভেসে” আসছে না। ;-কৈ, সেই ৪২ বৎসর আগের মত ত সমুদ্র কাতর কণ্ঠে ডাকছে না—“ওরে, আয় চ’লে আয় আমার কাছে !” কৈ, এ যে সুধু নীলাম্বর ভৈরব হুঙ্কার! এ যে বাক্যহীন তর্জন গর্জন! সেকালের সমুদ্রের সঙ্গে আমার প্রাণের যোগ ছিল,—সে সমুদ্র ভিতরে বাহিরে আমাকে আকুল করেছিল। আর এখন—এখন সে সমুদ্রে চড়া পড়ে গেছে, সমুদ্ৰ শুকিয়ে গেছে। তাই এতকাল পরে, এই বৃদ্ধ বয়সে মাদ্রাজের সমুদ্র সুধু গৰ্জ্জনই করতে লাগল-প্রাণের দ্বারে আঘাত করতে পারল না। হায় রে সেদিন, কুদিন হলেও সুদিন সেদিন ! আমাকে হাঁ করে চেয়ে থাকতে দেখে রামেশ্বর বল্লেন, চলুন, ঐ যে SQS