পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সব • ক্যাবিন দেখা যাচ্ছে, ঐখানে কাপড় ছাড়িগে। বেশ, চল । ক্যাকিগুলির সুমুখে গিয়ে দেখি সবগুলিরই তালা বন্ধ ! এই সময় কতকগুলি নুনিয়া বালক সেখানে এসে উপস্থিত হোলো । তাদের কাছে শোনা গেল যে, চৌকীদার এ বেলা আসে না, দুই-প্রহরের পরে আসে। তখন কি করা যায়। ধিরাজকুমার বললেন, তাতে আর কি, ঐ যে তিনচারখানা ছোট নৌকা বালুকার উপর চিৎ হয়ে আছে, ঐ আমাদের ক্যাবিন হোক। এই ব’লে তিনি একখানি নৌকায় লাফিয়ে উঠে নীচে নেমে পড়লেন। তাদের কাপড় ছাড়বার একটা আড়াল দরকার ; আমার আর রামেশ্বরের সে বাধা নেই, আমরা জামা চাদর নৌকার গায়ে রেখে মাথায় গামছা বেঁধে প্রস্তুত হলাম। আমার কিন্তু ঐ প্রস্তুত হওয়া পৰ্যন্তই দৌড়! আর সবাইঢেউয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে নুনিয়া বালকদের সঙ্গে অনেক দূর চলে গেলেন, ঢেউ খেতে লাগলেন। তাদের উল্লাস চীৎকারে সমুদ্র-তট মুখর হয়ে উঠল। আর আমি-আমি দুই তিনটা ঢেউ মাথায় নিয়ে, এক-রাশ লোণ জল উদারস্থ করে, বালি মেখে, হাফাতে হাফাতে রূণে ভঙ্গ দিয়ে উপরে উঠলাম। তার পর গায়ের মাথার বালুকারাশি ঝেড়ে ফেলতে কি কম সময় লাগল। কিন্তু আমার সঙ্গীদের জল-খেলা আর কিছুতেই থামে না। আমি যত ডাকি, তঁদের উল্লাস, তাদের চীৎকার তত বাড়ে। এমনই ক’রে প্রায় এক ঘণ্টা তারা স্নান করলেন। তার পর উঠে এসে কাপড় ছেড়ে ধিরাজকুমার একখানি ফটো তুললেন। মোটরে যখন উঠলাম, তখন পৌণে এগারটা। এবার আর ঐটে অমুক, ওটা তমুক, তা বলা নেই ; সোজা পথে কনেমার হোটেলে সাড়ে এগারটার মধ্যে পৌঁছিয়ে দেবার আদেশ প্রচারিত হোলো । ঠিক সাড়ে এগারটার সময়ই আমরা হােটেলে পৌছিলাম এবং একটুও SNo