পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুরারোগ্য রোগ মুক্ত করেছিলেন। শুনতে পাওয়া যায় যে, একটী চেটী বালিকা অনেক দিন আগে মরে গিয়েছিল! তার হাড় কুয়েকখানি শ্মশানভূমিতে পড়ে ছিল! সাধু সম্ভাণ্ডার সেই হাড় ক’খানির পার্থে বলে তঁর সেই দেব-প্রদত্ত করতাল বাজিয়ে গান করতে করতে চেন্ট বালিকা আবার বেঁচে উঠেছিল। কাপালিশ্বর মন্দিরে এই সাধুর মূৰ্ত্তি এখনও * পূজিত হয় ; তার হাতে এখনও এক ঘোড়া ধাতু-নিৰ্ম্মিত করতাল আছে। আমরা এই মন্দির দেখা শেষ করে যখন বাহিরে এলাম, তখন সারথি বললেন যে, একটু দূরে আরও একটা মন্দির আছে; তবে সেটা খুব পুৰাতন নয়, কোন এক ধনবান ব্যক্তি অল্প দিন পূর্বে মন্দিরটীি প্ৰস্তুত কবিয়ে দিয়েছেন। মন্দিরেব নাম সুব্রহ্মণ্য মন্দিব। সারথিকে সেই মন্দিরে যেতে বললাম। অল্পপথ গিয়েই সে আমাদের সেই মন্দিরের সম্মুখে নামিয়ে দিল। হঁয়, মন্দির বটে। আমরা মন্দিরের গোপুবম বা প্রবেশমণ্ডপ দেখে অবাক হয়ে গেলাম ; ভিতবে তখনও প্রবেশ কবি নাই। কি যে সুন্দর কারুকাৰ্য ঐ গোপুবমেব ! আধুনিক মন্দির হোলেও তাতে এখনকাব চিহ্নমাত্র নেই।--সেই সেকেলে ধরণের অভ্ৰভেদী মন্দিব ; আর তাব গায়ে তেত্ৰিশ কোটী দেবতার মূৰ্ত্তি খোদিত। চুড়াব উপব সোণার কলসী। আধুনিকের মত সুধু দেখলাম, এই গোপুরম এবং মন্দিবাদিতে বৈদ্যুতিক আলো সন্নিবিষ্ট হয়েছে। বাত্রিকালে এই সকল আলো জেলে দিলে একেবারে মন্দিরটা জলজ্বল করতে থাকে । সে সৌন্দৰ্য্য দেখা আর আমাদেব ঘটে উঠে নাই, আর মন্দিরটাও ভাল করে দেখা হোলো না-এখনও যে সহর দেখাই হয় নাই। মন্দির থেকে যখন আমবা বেব” হলাম, তখন প্ৰায় চাবটা । শ্ৰীমান রামেশ্বর বললেন, এখানেই চারটা বেজে গেল ; সন্থর দেখা হবে কখন। আমাব কিন্তু তখন ভয়ানক ক্ষুধা বোধ হয়েছে, চা-তৃষ্ণাও পেয়েছে। আমি SN