পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোধ হোলো ; কিন্তু, উপায় তা নেই-কিছু খেতেই হবে ; সুতরাং বিনা বাক্যব্যয়ে একখানি ছোট টেবিলের পাশে দুখান চেয়ার নিয়ে দুজুনে বসা গেল। আমরা কফি খাইনে শুনে তার চা আনতে গেল ; এদিকে যা খাদ্যদ্রব্য টেবিলে এনে দিল, তা আমার পক্ষে অখাদ্য, কারণ খুব শক্ত দাতালো লোক ভিন্ন সে সব আক্রমণ করে কার সাধ্য। রামেশ্বর যুবক, তাতে হিন্দুস্থানী, সুতরাং সেই সব ডা’ল-ভাজা, পাকৌড়ি প্রভৃতি তার কাছে উপাদেয় খাদ্য। আমার দুরবস্থা দেখে আশ্রম কৰ্ম্মচারী খান চেরেক অমৃতি এনে দিল ; আমার কাছে সেগুলি সত্যসত্যই অমৃতি বলেই মনে হোলো । কোন রকমে জলযোগ শেষ করে তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, সন্ধ্যার সময় চারটি ভাত দিতে পারবে কি না । তারা বল্ল, রাত সাড়ে আটটার আগে ভাত দিতে পারে না । তখন সেখান থেকে বা’র হয়ে নিকটেই “আৰ্যভবন” সাইন-বোর্ড মারা আর একটা হোটেলে গেলাম । তাদেরও সেই কথা, সাড়ে আটটার আগে ভাত মিলবে না। অর্থাৎ সে রাত্ৰিতে অন্নপূর্ণার কৃপা লাভের কোন সম্ভাবনাই নেই। তখন সহরের অন্যান্য দ্রষ্টব্য দেখবার জন্য যাত্রা করা গেল। সারথির নির্দেশ-অনুসারে প্রথমেই আমরা মাদ্রাজের মিউজিয়ম বা যাদুঘর দেখতে গেলাম। প্ৰকাণ্ড বাগানের মধ্যে সুন্দর সুদৃশ্য অট্টালিকায় এই যাদুঘর অবস্থিত। আমাদের কলিকাতার যাদুঘর বাহির থেকে দেখলে মনে হয় যেন একটা পাটের গুদাম, কি সাহেবদের হোেস বা আফিস ; বাইরে কোন শ্ৰীছাদই নেই। মাদ্রাজের যাদুঘর কিন্তু তেমন নয়। ভিতরে যাই থাকুক, বাহিরের চাকচিক্য বেশ আছে। যাদুঘরে প্রবেশ করেই প্ৰথম কক্ষের দেওয়ালে কতকগুলি তৈলচিত্র বিলম্বিত দেখলাম। আমরা "অনেকক্ষণ সেই চিত্রগুলিই দেখেছিলাম ; সঙ্গী রামেশ্বরপ্রসাদ সেগুলির সৌন্দৰ্য-বিশ্লেষণ করতে লাগলেন। তার পর ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে চোখ See