পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতি-মন্দিরের প্রশস্ত হলে প্ৰবেশ করে দেখি, সেটা আমাদের হোয়াইটওয়ে লেডলয়ের দোকান বললেও চলে। সত্যিই তাই। নানা রকম দ্রব্য সাজানো রয়েছে ; আর প্রত্যেক দ্রব্যের গায়ে টিকিট ঝোলানো আছে। আমি মনে করলাম, হয় তা ঐ সব টিকিটে দ্রব্যের বিবরণ বা ইতিহাস লেখা আছে। কিছু না মশাই ! সে সব টিকিটে জিনিষের দাম লেখা আছে। একজন কৰ্ম্মচাবীকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম, সব জিনিষ বিক্রয়ের জন্য সেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সুতরাং এই স্মৃতি-সৌধকে হোয়াইটওয়ের দোকানের সঙ্গে তুলনা করে আমি সেই মহামহিমময়ী সম্রাজ্ঞীর স্মৃতির প্রতি অভক্তি প্ৰদৰ্শন করি নাই ; অভিক্তি র্তারাই প্রকাশ করেছেন, যাৱা এমন পবিত্র স্মৃতি-মণ্ডিত সৌধের মধ্যে দোকান খুলে বসেছেন। নিতান্ত বিরক্ত হয়ে স্মৃতি-মন্দির ত্যাগ করলাম । হিন্দুর মন্দির, খৃষ্টানের গীর্জা, লাট-বেলাটের বাড়ী, यांत्रैिर्न गबद्दे उ চোখ বুলিয়ে দেখলাম ; এখন মুসলমানের কোন কীৰ্ত্তি আছে কি না জিজ্ঞাসা 33C5 isfe AC3 giC3 (Tife(; c. 371 “Of course, there is Shah Aulaiya’s Tomb (f"5țš, *țR আউলিয়ার সমাধি-ভবন আছে )।” এই ব’লে সে আমাদের সহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্ৰান্তে তালবনের মধ্যে শ্বেত-গম্বুজ-শোভিত পরম পবিত্র সমাধিভবনে নিয়ে গেল। স্থানটী যেমন নির্জন, তেমনই মনোরম ৷ চারিদিকে তাল-গাছগুলি মাথা উচু করে এই শান্তরসাস্পদ তপোবনের গাম্ভীৰ্য্য বৃদ্ধি করছে। শুনলাম, প্রতি বৃহস্পতিবারে শর্ত সহস্ৰ ধৰ্ম্মপ্রাণ মুসলমান নরনারী বালকবালিকা এখানে সমাগত হয়ে পরলোকগত মহাত্মার প্রতি শ্ৰদ্ধা নিবেদন করেন। প্ৰতি বৎসর ৪ঠা এপ্রিল তারিখে মহাত্মার পরলোক-গমনের দিন। এখানে * প্ৰকাণ্ড মেলা বসে। এই মহাত্মা বিজাপুরে জন্মগ্রহণ করেন, এবং ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দে মাদ্রাজে আগমন ক’রে এই তালকুঞ্জে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। 8 Sa 脚