পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসংখ্য লোক তঁর ধৰ্ম্মপ্ৰাণতায় আকৃষ্ট হয়ে তঁর শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করেন। এইখানেই অতি বৃদ্ধ বয়সে ১৭৭২ অব্দে তিনি দেহত্যাগ করেন। তার কবরের উপর তদানীন্তন কর্ণাটির নবাব ওয়ালাজা বাহাদুর সমাধি-মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়ে দেন। মহাত্মা আউলিয়ার এমন অলৌকিক ক্ষমতা ছিল যে, তাহার খ্যাতিতে আকৃষ্ট হয়ে সুপ্ৰসিদ্ধ হাইদার আলি ও র্তাহার পুত্ৰ টিপু সুলতান ফকিরের ছদ্মবেশে এসে তাকে দর্শন ক’বে যান। মহাত্মা আউলিয়ার সমাধি মন্দিরের পূর্বদিকে খানিকটা খালি জমি দেখিয়ে আমাদের সারথি বললেন যে, এই স্থানে কর্ণাটের নবাব ওয়ালাজা প্ৰথমে সমাহিত হন ; পরে তাহার দেহাবশেষ ত্ৰিচিনোপলীতে নিয়ে যাওয়া হয় । সেই থেকে এই স্থানটুকু খালি পড়ে আছে। এই পবিত্র সমাধি-স্থান হ’তে যখন আমরা বের হলাম, তখন ছ’টা বেজে গেছে, ষ্ট্রেসনও অনেক দূর । সুতরাং ফিরবার সময় মাদ্রাজে দুই এক দিনু থেকে ভাল করে দেখা যাবে, মনকে এই ব’লে প্ৰবোধ দিয়ে আমরা ষ্টেসনাভিমুখী হলাম। ষ্টেসনে এসে দ্বিতীয় শ্রেণীর বিশ্রামাগারে আশ্রয় লওয়া গেল এবং হাত মুখ ধুয়ে এক এক পেয়ালা গরম চা পান করে একটু বিশ্রাম ঙ্করব মনে করেছি, এমন সময় একটি মুণ্ডিত-মস্তক, দীর্ঘশিখ, নগ্নপদ ভদ্রলোক এসে আমাকে বিস্মিত করে দিলেন। তিনি টানা-টানা বাঙ্গলায় বললেন, আপনার নামই কি অমুক। আমার তা ভয়ই হোলো, লোকটা ডিটেকটিভ না কি। কথা নাই বাৰ্ত্তা নাই, একেবারে সোজা বাঙ্গালায় এমন করে এই সুদূর মাদ্রাজে আমাকে আমার মাতৃভাষায় সনাক্ত করে কে ? আমাকে নিৰ্বাক দেখে তিনি বললেন যে, তিনি মাদ্রাজেরই অধিবাসী । তঁার নামটাও আমাকে লিখে দিয়েছিলেন ; আমি সে কাগজখানা হারিয়ে ফেলেছি। মোট কথা, তিনি বললেন এই, যে, তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের 6