পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} - বি-এ উপাধিধারী, এখানকার কোন একটা বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শিক্ষক : তিনি বেশ বাঙ্গলা জানেন, বাঙ্গালা মাসিকপত্র সব পড়েন ; उद्देष्ठ उिनि এমন ভাল বাঙ্গলায় কথা বলতে পারেন। একবার কলিকাতায় 4. শোভারাম বসাকের লেনে তিন মাস ছিলেন। সেই সময় আমাকে দেখেছিলেন । একটা কাজে ষ্টেসনে এসেছিলেন, হঠাৎ আমাকে দেখে কথা বলতে এলেন। লোকটা দেখলাম খুব বাক্যবাগীশ । আমার কিন্তু মনের খাটুকা মিট্টল না। ভদ্রলোক অনেকক্ষণ অনেক কথা বললেন ; আমি অতি সংক্ষেপে হু, না, ক’রে সাৱতে লাগিলাম। তার পর ভদ্রলোকটী চ’লে গেলেন। রাত্রি সাড়ে আটটার সময় গাড়ী যখন প্ল্যাটফরমে এল, তখন আমরা আমাদের নির্দিষ্ট রিজার্ভ কামরায় গিয়ে উঠলাম । তখনও দেখি সেই মাষ্টার মহাশয় আমাদেরই প্ল্যাটফরমে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ কি দুর্ভোগ বলুন ত! যাচ্ছি বেড়াতে, কোন কিছুর মধ্যে নেই, অথচ এই ব্যাপার! গাড়ীতে উঠে দেখি, আমাদের দুইজনের দুইটী আসন রিজার্ভ আছে ; নীচের আর দুইটী আসন আর একজন ভদ্রলোকের নামে রিজার্ভ। একটু পরেই ধুতি-জামা-চাদর চটজুতা-পরা একটী প্রৌঢ় ভদ্রলোক অনেকগুলি লটবহর নিয়ে এলেন। তার সঙ্গে একটী সুন্দরী যুবতী। ইনি ভদ্রলোকটীর কে, তা কিছুতেই ঠাহর করতে পারলাম না ; জিজ্ঞাসা করাও ভদ্রতা-সঙ্গত নয়। প্ৰৌঢ় ব্যক্তি তাড়াতাড়িমহিলাটীর জন্য বিছানা পেতে দিলেন ; দেখলাম একখানি কম্বল পৰ্য্যন্তও তিনি নিজের শয়নের জন্য রাখলেন না । চাকর বাকর যারা এসেছিল, যুবতীই তার দিণী ভাষায় তাদের উপর হুকুম চালাতে লাগলেন। আমার কি মনে হোলো জানেন ? আমার মনে ' হোলো, যুবতী হয় ভদ্রলোকটীর তৃতীয় পক্ষের গৃহিণী, আর না হয় – । দুৱ ছাই, এ কি পরিচর্চা ! রামেশ্বর সেই প্রৌঢ় ভদ্রলোকটিকে حقویم