পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময় যদি অরণ্যের মধ্যে একটা ভগ্ন-মন্দিরে ‘বিমলা’ ও ‘তিলোত্তমা’র সঙ্গে সাক্ষাৎ হোতে, তা হ’লে আমার এই ভ্ৰমণ-বৃত্তান্ত উপলক্ষ ক’বে বেশ একখানি উপন্যাস রচনা করা যেতো। কিন্তু সে সৌভাগ্য মানুষের কদাচিৎ হয়। রাজা বীরবল্লাল এই বিপদকালে তেমন কিছুরই সাক্ষাৎ পেলেন না ; তঁাব অদৃষ্ট জুটলো এক ভাঙ্গা পুকুটীর } আর তার অধিবাসিনী এক ছিন্নবস্তু-পরিহিত দরিদ্র বৃদ্ধ!! রাঙ্গািক্টসই বৃদ্ধার আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। বৃদ্ধ বলুল, “তাই ত, কোন রকমে তোমার মাথা দেবার একটু স্থান এই ছোট কুঁড়ের মধ্যে হ’তে পাববে; কিন্তু ঘরে ত খাবার দ্রব্য কিছু নেই, তোমাকে কি খেতে দেব।” রাজা তখন ক্ষিদের জ্বালায় অস্থির। তিনি চেয়ে দেখলেন কুটীরের পাশ্বে এক রাশ বরাবটী রয়েছে ; বুড়ী বন থেকে ঐগুলি কুড়িয়ে এনে বেখেছিল। ও দেশে বরবটীব নাম ‘বেঙ্গালু । রাজা বললেন “তুমি ঐ বববটীগুলো সিদ্ধ করে দেও। তাই অা ও খাব, আমাৰ ঘোড়াটীকেও খাওয়াব।” বুড়া তাই কবল। ক্ষিণ । জালায় রাজা সেই ‘বেঙ্গালু-সিদ্ধ খেয়ে বুড়ীর সেই পর্ণকুটীরে রা কাটালেন। পাবদিন অৰণ্য থেকে বেবিয়ে রাজধানীতে ফিবে এসে, বুড়ার সেই কুটীরের চাবি পাশের অরণ্য কাটিয়ে নগর বসাবার হুকুম দিলেন এবং তার সেই বেঙ্গালু রাজভোগের কথা চিরস্মরণীয় করবার জন্য এই নগবের নাম দিলেন ‘বেঙ্গালুরু’। সেই নাম কালক্রমে সংস্কৃত হ’য়ে এখন ‘বাঙ্গালোবে।” দাড়িয়েছে। “উরু” শব্দের অর্থ সহর । এই বাঙ্গালোব সহর মাদ্রাজ থেকে ২১৯ মাইল । এই সহর কোন পাহাড়ের উপর প্রতিষ্ঠিত নয় ; তা না হ’লেও সহরটা কিন্তু সমুদ্র সমতল থেকে তিন হাজাব ফিট উঁচু; তাই এখানে গ্রীষ্মকালেও তেমন গরম হয় না, আবার শীতকালেও তেমন শীত হয় না । এই জন্যই এ সহরের 23