পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এত শ্ৰীবৃদ্ধি হয়েছে। শুনেছি, অনেক সাহেবলোক কাৰ্য্য থেকে অবসর নিয়ে শেষজীবন এখানেই কাটিয়ে দেন। আর তাদের সুব্লিধার জন্য এখানে বিলাতী সাজসজ্জা অৰ্থাৎ হোটেল, ক্লাব ইত্যাদির যথেষ্ট ব্যবস্থা आigछु । বাঙ্গালোর দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ ইংরাজ গবৰ্ণমেণ্টের, তার নাম ক্যানটনমেণ্ট। সাহেবেরা সবাই প্ৰায় এখানেই বাস করেন। আর একভাগ নেটিভ টাউন বা ‘সিটি” । এখানে দিশী লোকের বাস, দিশী হাট-বাজার। ক্যানটনমেণ্টে গোর-বারিক আছে। তাতে অনেক গোরা সৈন্য নির্বিববাদে আহার-নিদ্রা বিশ্রাম করে দিনপাত করছেন ; যুদ্ধবিগ্রহও নেই, কোন ঝঞ্চাটও নেই ;-তারা দিবি আরামে সরকারের খরচায় এই সুন্দৰ সহবে ফৰ্ত্তিতে কাটাচ্ছেন। এই সহরের আয়তন ক্রমেই বাড়ছে। এখন প্ৰায় বাইশ বর্গমাইল স্থান এই সহর অধিকার করে আছেন। আর আমরা যা দেখে এলাম, তাতে ক্রমেই সহবের পরিধি বাড়তে আরম্ভ করেছে, সঙ্গে সঙ্গে ভাল ভাল বাড়ীঘর তৈরী হচ্চে। আমার ত মনে হয়, শুধু মাদ্রাজ প্রদেশ কেন, বাঙ্গালোরের মত সুন্দর সঙ্গর ভারতবর্ষেই অতি কম আছে। সহর দেখলে মনে হয় যেন একখানি ছবি। প্ৰত্যেক বাড়ীর সংলগ্ন উদ্যান কি পরিপাটি ! এখানে যে সব নূতন পল্পী স্থাপিত হচ্চে, সেগুলির ইংরাজী নাম দেওয়া কচ্চে ; যেমন-ক্লিভল্যাণ্ড টাউন, রিচুমণ্ড টাউন, ফ্রেজার টাউন ইত্যাদি। হিন্দু-মন্দিরের কথা বাদ দিয়ে রাখলে বাঙ্গালোরে দেখবার মত প্ৰধান স্থান তিনটী, যথা-কাববন-উদ্যান, লালবাগ আর পুরাতন কেল্লা। এই তিনটী ছাড়াও নাম করবার মত আরও অনেক বাড়ীীঘর আছে ; যথারাজপ্রাসাদ, ভিকটোরিয়া হাসপাতাল, মিণ্টে-চক্ষুচিকিৎসালয়, সেন্টাল । কলেজ, সেণ্ট প্যাটিক গির্জা, এঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রিসার্চ ইনষ্টিটিউট ag A