পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ই আশ্বিন, ২৪শে সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, সপ্তমী আজ প্ৰাতঃকালে মাইল দুই ভ্রমণ,—সুধু ভ্ৰমণ। অপরাহ্ পাচটার সময় একখানি ফিটন নিয়ে গােবীপুরম গেলাম। এ স্থানটী সহরের একেবারে বাইরে। সন্ধ্যার একটু আগেই পৌছিলাম। সেখানে পাহাড়ের গা খুদে একটা ছোট মন্দির ; সবই মাটীর নীচে। श्रांश কেটে পাতালে ঘর, অনেকগুলি প্রকোষ্ঠ, একেবারে আধার ; দিনেই প্ৰদীপ জ্বালাতে হয়। নীচে প্ৰবেশ করে প্রথমে পুষ্প-শোভিত পিতলের শিবপাৰ্ব্বতী মূঞ্জি দেখলাম। মূৰ্ত্তিটি ছােট। তার পিছনেই একটা কক্ষে প্রকাও শিবমূৰ্ত্তি। নাম গঙ্গাধরেশ্বর। তার দক্ষিণে একটা কক্ষে প্রকাও পাৰ্ব্বতীর্ঘ, নানা ভূষণ-ভূষিতা। তার পাশেই একটা সুড়ঙ্গপথ। মন্দিরের পুরোহিত প্ৰদীপ হাতে নিয়ে সেই সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে আগে আগে চললেন, আমি আর রামেশ্বর পিছনে। মন্দিরের মধ্যে কোন রকমে দাঁড়ানাে যায়, কিন্তু সেই সুড়ঙ্গের মধ্যে মাথা নুইয়ে যেতে হয়। একটু গিয়েই বা হাতের দিকে একটী ছোট গুহা । পুবোহিত বললেন, এখানে গৌতম ঋষি তপস্যা করতেন। ভাল কথা। তার পর সুড়ঙ্গ। ক্রমে অপরিসর হতে লাগল, আমরা বসে ব'সে হামা দিয়ে চলতে লাগলাম। তবু সুড়ঙ্গ শেষ হয় না। শেষে পুরোহিত বললেন যে, এর পরে খানিকটা বুকে হেঁটে যাওয়া যায় ; অনেকে গেছেন ; তার পর আর যেতে কেউ সাহস করে না। আমরা যে সমভূমি থেকে অনেক নীচে গিয়েছি তা বেশ বুঝতে পারা গেল। সুড়ঙ্গ যে কোথায় শেষ হয়েছে, কেউ বলতে পারে না। প্রবাদ, গৌতম ঋষি এই সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রত্যহ কাণী যেতেন। কাশী কিন্তু এখান থেকে অনেক দূর। আমরা আর এগুতে পারলাম না ; নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে go