ԵrՀ শ্ৰীল-ভক্তিবিনোদ-কুতি- ' টীকা-অনুবাদ-৭২ ৷ আশ্রয়ও দুইপ্ৰকার-শ্ৰীকৃষ্ণাত্মক ও শ্ৰীনারায়ণাত্মক। যদিও বস্তুবিচারে কৃষ্ণ ও নারায়ণের একত্ব, তথাপি রসভেদে তঁহাদের ভেদ আছে। মহা-ঐশ্বৰ্য্য থাকিলেও শ্ৰীকৃষ্ণে পরম মাধুৰ্য্যই প্রবল। মাধুৰ্য্যের প্রবল আকর্ষণশক্তিহেতু সূৰ্য্যালোকে প্রদীপের প্রভার ন্যায় ঐশ্বৰ্য্যও তাঁহাতেই (মাধুৰ্য্যেই ) গৃঢ়ভাবে বিদ্যমান। শ্ৰীনারায়ণে কিন্তু কেবল ঐশ্বৰ্য্যের প্রভাব । যদিও সেই নারায়ণে জীবের আকর্ষণকাৰ্য্যও প্রবল, তথাপি কৃষ্ণরসাস্বাদন পরায়ণ জীবগণের সম্বন্ধে উহা দুৰ্ব্বলই। কিন্তু, নারায়ণে আকৃষ্ট জীবগণের কৃষ্ণে লালসা স্বাভাবিক এই পরম গুহৃতত্ত্ব কিন্তু আস্বাদনৰ্দ্ধারা বিচাৰ্য্য, অনিৰ্ব্বচনীয় বলিয়া বাক্যে প্রকাশ করিতে পারা যায় না। মূল অনুবাদ-৭৩। কৃষ্ণে সর্বাপেক্ষ। বৃহৎ (উন্নত ) পরিপক্ক (পূর্ণ) আনন্দের চমৎকারিতাপূর্ণ রস স্বাভাবিকভাবে অবস্থিত। ঐশ্বৰ্য্যজ্ঞানপূর্ণ বলিয়া নারায়ণে উহা স্বভাবতঃ न्ाठे । টীকা-অনুবাদ-৭৩। শ্ৰীকৃষ্ণপ্রিয়গণের যে পূর্ণানন্দজনিত চমৎকারিতাপূর্ণ রস, তাহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ অর্থাৎ উন্নত। দাস্ত-সখাবাৎসল্য ও মধুর—এই চারিটা রস মাধুৰ্য্যাধুরি শ্ৰীকৃষ্ণেই সাধ্য (লভ্য ফল) { কিন্তু, ঐশ্বৰ্য্যপ্রধান নারায়ণে কেবল দাস্যই সাধ্য-তাহারও সীমা প্রেমপৰ্য্যন্ত । তাহার (নারায়ণের ) দান্তে বিশ্রস্তাত্মক প্রণয় নাই,- কারণ, ঐশ্বৰ্য্য ছয়মূলক, দাসগণের নিজের হীনতাবুদ্ধি বিদ্যমান এবং ঐশ্বৰ্য্য অনন্ত । কিন্তু, মাধুৰ্য্যে সেব্য ও সেবকের সাম্যবুদ্ধি স্বাভাবিক ; তাহার অভাবে মধুরভাব সম্ভব নহে। Digitized at BRCIndia.com
- 鯊
