পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ পেলেই চলে যায়,-গিয়ে যা-হোক কিছু কয়বার চেষ্টা পারে। হাজার হোক, সেও তা আমার পর নয়, মা, সেও ত এক বন্ধুরই ছেলে । দেখলাম, চ’লে যাবার জন্যে ভারি ব্যস্ত-পেলেই চ’লে যায়। আর তোমার দেওয়াও দেওয়া, আমার দেওয়াও দেওয়া । তাই, তখনি দিয়ে দিলাম। তার ধৰ্ম্ম তার কাছে,-দশ টাকা বেশি নিয়ে থাকে, নিকৃ। বিজয়ার মুখের মধ্যে জিভটা যেন আড়ষ্ট হইয়া গেল,-কিছুতেই যেন আর কথা ফুটিবে না, এমনি মনে হইল! কিছুক্ষণে প্রবল চেষ্টায় বলিয়া ফেলিল, কোথায় তঁাকে টাকা দিলেন ? রাসবিহারী কেমন করিয়া জানি না, প্রশ্নটাকে সম্পূর্ণ অন্য বুঝিয়া চমূকাইয়া উঠিয়া কহিলেন, না-না, বল কি, টাকাটা দুবাব ক’রে নিলে না কি ? কিন্তু কৈ, সে রকম ত তার মুখ দেখে মনে হ’ল না ? আর, কাকেই বা দোষ দেব। এমনি কোরে লোকের কথায় বিশ্বাস ক’রে ঠকাতে-ঠকৃতেই ত দাড়ি পাকিয়ে দিলাম। না , হয়, আর দু’শ গেল । তা” সে টাকাটা আমিই দেব-চিরকাল এই রকম দণ্ড বইতে বইতে কঁাধে কড়া পড়ে গেছে, মা, আর লাগে না । যাকৃ-সে 'अभि বিজয়া আর কিছুতেই সহিতে না পারিয়া রুক্ষম্বরে বলিয়া উঠিল, কেন আপনি মিথ্যে ভয় কমুচেন, কাকাবাবু? দুবাস্ত্ৰ ক’রে টাকা নেবার লোক তিনি ন’ন,-না খেতে পেয়ে মন্ত্রবা৯ সময় পৰ্য্যন্ত ন'ন । কিন্তু কোথায় দেখা হ’ল ? কবে টাকা দিলেন ? s মৃত্নী অত্যন্ত আশ্বস্ত হইয়া নিঃশ্বাস্তু ফেলিয়া কহিলেন,

ܢ ܘܘܿ ܠ