পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ দুই একটা ভাসা-ভাসা কথায় মনে হয়, যেন সে ছেলে তার মায়ের সমস্ত সদগুণই পেয়েছে। ভগবান করুক, যেখানে যেমন করেই শাক, যেন বেঁচে থাকে । সন্ধ্যা হইয়াছিল। ভূত্য আলো দিতে আসিয়া, বিলাসবাবুর আগমনসংবাদ জানাইয়া গেলে, বনমালী বলিয়াছিলেন, তবে তুমি এখন নীচে যাও মা, আমি একটু বিশ্রাম করি। * *.* . বিজয়া পিতার শিয়রের বালিশগুলি গুছাইট? ' ' শালখানি যথাস্থানে টানিয়া দিয়া, আলোটীঃ চেষ্ট্র করিয়া দিয়া নীচে নামিয়া গেলে, পিতার জীর্ণ শাখািটসি) দীর্ঘনিশ্বাস পড়িয়াছিল! সে-দিন বিলাসর আগমনী সংবাদ"; মুখের উপর যে আরক্ত আভাটুকু দেখা দিয়াছিল, বৃদ্ধিকে তাহা ব্যথাই দিয়াছিল । *ች বিলাসবিহারী রাসবিহারীর পুত্র। সে এই কলিকাতা সহরে থাকিয়া jisfrat যাবৎ প্রথমে এফ-এ এবং পরে বি-এ পড়িতেছে। বনমালী *সমাজ ত্যাগ করিম অবধি বড় একটা দেশে যাইতেন না।” “ যদিচ, ব্যবসায়ের শ্ৰীবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশেও জমিদারী অনেক বাড়াইয়াছিলেন, কিন্তু, সে সমস্ত তত্ত্বাবধানের ভার বাল্যবন্ধু রাসবিহারীর উপরেই ছিল। সেই সুত্রেই বিলাসের এ বাটীতে আসা-যাওয়া আরম্ভ হইয়া কিছুদিন হইতে অন্য যে কারণে পৰ্য্যবসিত হইয়াছিল, তাহা পরে প্রকাশ পাইবে।