পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুমন্ত্র কিংবা প্রয়োজন কিছুই তাহার ছিল না। ঠিক এই সময়ে বিদ্যু এদিকে মুখ ফিরাইল। নরেন্দ্রের মুখের প্রতি ব্যথিত; উৎপীড়িত খুঁটি চক্ষু ক্ষপকাল নিবদ্ধ করিয়া কছিল, আমি যতদিন বঁy4, আপনার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব। কিন্তু এরা যখন অন্য ডাক্তার দিয়ে আমার চিকিৎসা করা স্থির করেছেন, তখন আর আপনি অনর্থক অপমান সইবেন না। কিন্তু ফিরে যাবার পথে দয়ালবাবুকে একবার দেখে যাবেন, শুধু এই মিনতিটি রাখবেন,—বলিয়া প্ৰত্যুত্তরের জন্য অপেক্ষা না করিয়াই সে পুনরায় মুখ ফিরাইয়া শুইল। রাসবিহারী অনেক পূর্বেই আসল ব্যাপারটা বুঝিয়েছিলেন, তিনি তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিলেন,-বিলক্ষণ । যাকে ডেকে পাঠিয়েছ, তঁকে অপমান করে কার । সাধ্য ! তার পর ছেলেকে নানাপ্রকার ভৎসনার মধ্যে, বারংবার এই ' কথাটাই প্রচার করিতে লাগিলেন যে, অসুখের গুরুত্ব কল্পনা করিয়া উৎকণ্ঠায় বিলাসের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পাইয়াছে, এবং সঙ্গে সঙ্গে একমাত্র ও অদ্বিতীয় নিরাকার পবব্রহ্মের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অনেক আধ্যাত্মিক ও নিগুঢ় তত্ত্ব-কথার মৰ্ম্মোদঘাটন করিয়া দেখাইয়া দিলেন, নরেন্দ্র কোন কথা কহিল না। পিতা ও পুত্রের নিকট হইতে তত্ত্ব-কথা ও অপমানের বোঝা নিঃশব্দে দুই স্কন্ধে বুলাইয়া লইয়া উঠিয়া দাড়াইল, এবং লাঠি ও ছোট ব্যাগটি হাতে করিয়া তেমনি নীরবে বাহির হইয়া গেল। রাসবিহারী পিছন হইতে ডাকিরা কহিলেন, নরেন্দ্রবাবু, আপনার সঙ্গে একটা জরুরি কথা আলোচনা কক্সবার আছে—বলিয়া তাড়াতাড়ি উঠিয়া । DDLDDS KBDBDS ggBDD D S DDBB BBBDS BBDB DBBS Not