পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड्र 25াঁর মূল্য যাই হােক, কিন্তু কথা যখন দেওয়া হয়েছে, তখন, তার ভাবাও চলে মা, দাম দিতেও বিলম্ব করা চলে না। মনে মনে বললা আমার বিজয়া-মা ২খন ইচ্ছে, যত দিনে ইচ্ছে টাকা দিন, কিন্তু ’চামিল খাঁ, নিজে গিয়ে দিয়ে আসি গে। সে বেচারা যখন ঐ টাকা নিয়েই তি বিদেশে যাবে, তখন একটা দিনও ত দেরী করা কীৰ্ত্তব্য নয়। তা’র ওপ সে যখন আমার জগদীশের ছেলে । নরেন তখনকার কটু কথাগুলা স্মরণ করিয়া বেদনার সহিত জিজ্ঞা করিল, তার কি দাম দেবার ইচ্ছে ছিল না ? বৃদ্ধ গন্তার হইয়া কহিলেন, না, সে কথা আমার ত মনে হয়। নরেন । কিন্তু তবে কি জানে,-না, থাক । বলিয়া তিনি সহসা মৌ হইফোন । চারিশত টাকায় যাচাই করার কথাটা একবার নরেনের জিহব। আসিয়া পড়িলা, কিন্তু, সেই সঙ্গেই কেমন একটা ক্লেশ বোধ হওয়ায় সম্বন্ধে আর সে কোন কথা কছিল না । রাসবিহারী এইবার দরকারী কথাটা পাড়িলেন। তিনি লো চিনিতেন । নরেনের আজিকার কথাবার্তায় ও ব্যবহারে তঁাহা ঘোর সন্দেহ জন্মিয়াছিল যে, এখনও সে আসল কথাটা জানে না এবং এই সকল অন্যমনস্ক ও উদাসীন-প্রকৃতির মানুষগুলোর একেবাৰে চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া না দিলে নিজে হইতে অনুসন্ধান করিয়া, ইহাৱা কোন দিনই কিছু জানিতে চাহে না । বলিলেন, বিলাসে আচরণে আজ আমি যেমন দুঃখ, তেমনি লজ্জা বোধ করেছি। ও মাইক্রস্কোিপটার কথাই বলি। বিজয়া একবার খার্দ তার মত নি.ে woby