পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w3| আখ্যাতি, আমাকেই কেন সেটা আজকের আনন্দের দিনে বকশিস ক’ঃে দিন না ? সেই দুশো টাকাটা ক’লা-পরশু যেদিন হয় পাঠিয়ে দে। বলিয়া আরও ঐ একবার হাসিবার চেষ্টা করিলা বটে, কিন্তু উৎসাহের - অড্রাল-কছুবিধা হইল না। বরঞ্চ ও-পক্ষ হইতে প্ৰত্যুত্তরে একেবারে অপ্ৰত্যাশিত কড়া জনাব আসিল । বিজয়া কহিল, দাম নিয়ে দেওয়াকে কমি উপহার দেওয়া বলিনে, বিক্ৰী করা বলি। ও-রকম উপহার দিয়ে আপনি আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারেন, কিন্তু আমাদের শিক্ষা আর এক রকম হয়েছিল । তাই আজি আনন্দের দিনে সেটা বেচিতে ইচ্ছা করিনে । এই আঘাতের কঠোরতায় নরেন্দ্ৰ স্তম্ভিত হইয়া গেল। এমনিই স্বত সে বিগ ব্লার মেজাজের প্রায়ই কোন কুল-কিনারা পায় না,-"তাহাতে আজ তাহার বুকের মধ্যে যে তুষের আগুন জ্বলিতেছিল, তাঙ্গার দাঙ্গ যখন অকস্মাৎ আকারণে বাহির হইয়া পড়িল, তখন নরেন্দ্ৰ তাহাকে চিনিয়া লষ্টতে পারিল না । সে ক্ষণকাল তাহার কঠিন মুখের পানে নিঃশব্দে চাহিয়া থাকিয়া, অত্যন্ত ব্যথার সহিত বলিল, আমার একান্ত দীন অঞ্চস্থা আমি ভুলেও যাইনি, গোপন কক্সবার চেষ্টাও করিনি যে, অণুমাকে মনে করিয়ে দিচ্চেন । নলিনীকে দেখাইয়া কহিল, আমি একেও আমার সমস্ত ইতিহাস বলেছি। বাবা অনেক দুঃখ-কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। তঁর মৃত্যুর পরে বাড়ী-ঘর-দ্বার যা কিছু এখানে ছিল, সৰ্বস্ব দেনার দায়ে বিক্রী হয়ে গেছে, কিছুই কারো কাছে লুকোইনি। উপহার দিয়েছি, এ কথা বলিনি। আচ্ছা, বলুন ত, এ সব কি আপনাকে জানাইনি ? R o R