পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ পুল্লের সঙ্গে বিবাহেব জনশ্রুতি ও গ্রামে অপ্রচারিত ছিল না,-তিনি মেম সাহেব, স্লেচ্ছ ; সুতরাং অদূর- ভবিষ্যতে রাসবিহারীর দৌরাত্মা কল্পনা করিয়া কাস্থ্যুরও মনে কিছুমাত্র সুখ রহিল না, ন-পৈতাধারী ব্ৰাহ্মণেরও না, পৈতাহীন শূদ্রের ও না। এমনি, ভয়ে-ভাবনায় বর্ষার্টা গেল । শরতের প্রারম্ভেই এক মধুর প্রভাতে মস্ত দুই ওয়েলার ধাতত খোলা ফিটনে চড়িয়া তরুণী জমিদার-কন্যা শত নরনারীর সভয় কৌতুঙ্গল দৃষ্টির মাঝখান দিয়া হুগলি ষ্টেসান হইতে পিতৃ-পিতামহের পুরাতন অবাসস্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । বাঙালীর মেয়ে,--আঠারো-উনিশ বৎসর পার হইয়া গেছে, তথাপি বিবাহ হয় নাই,- সে প্রকাশ্যে জুতা-মোজা পরে,--ঋষ্ঠাখাদ্য বিসায় করে না-ইত্যাদি কুৎসা গ্রামের লোকের সঙ্গোপনে করিতে লাগিল, আবার জমিদারের নজর লইয়া একে একে, দুইয়ে দুইয়ে আসিয়া নানা প্রকারে আনন্দ ও 'মঙ্গল-কামনা জানাইয়াও যাইতে লাগিল।” এখন করিয়া পাঁচ-ছয় দিন কাটিবার পরে, সে-দিন সকালী-বেলা-বিজয় চাপানের পর নীচের বসিবার ঘরে বিলাসবাবুর সাহিত বিষয়-সম্পত্ত্বি সম্বন্ধে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিল, বেহারিা আসিয়া জানাইল, একজন "ত লোক দেখা করিতে চান। বিজয়ী কহিল, এইখানে নিয়ে এসো। এই কয়দিন ক্ৰমাগতই তাহার ইতার-ভদ্র প্রজার। নজর লইয়া যখন-তখন সাক্ষাৎ করিতে আসিতেছিল ; সুতরাং প্রথমে সে বিশেষ কিছু মনে করে নাই। কিন্তু, ক্ষণকাল পরে যে ভদ্রলোকটি বেচারার পিছনে ঘরে গুrর্শ কৰেিল, তাহার প্রতি , দৃষ্টিপাতমাত্রই বিজয়ী SS