পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵਿਕ বিজয়ার সর্বাগ্রে মনে হইয়াছিল, কাল প্ৰভাতেই সে যেমন করিয়া হৌক, কলিকাতায় পলাইয়া এই ব্যাধের ফাঁদ হইতে আত্মরক্ষা করিবে। কিন্তু, উত্তেজনার প্রথম ধাক্কাটা যখন কাটিয়া গেল, তখন দেখিতে পাইল তাহাতে জালের ফাঁসি যে শুধু বেশী করিয়া চাপিয়া বসিবে, তাই নয় অপবাদের ধুয়া সঙ্গে সঙ্গে বহিয়া সেখানকার আকাশ পৰ্য্যন্ত কলুষিত করিতে বাকী রাখিবে না। তখন কলিকাতার সমাজেই বা সে মুখ বাহির করিবে কি করিয়া ? অথচ, এখানেও সে ঘরের বাহির হইতে পারিল না। যদিও নিশ্চয় বুঝিতেছিল,-রাসবিহারী তাহাকে পরিত্যাগ করিবার জন্য নয়, বরঞ্চ গ্ৰহণ করিবার অভিপ্ৰায়েই এই দুর্নামের সৃষ্টি করিয়াছিলেন, এবং একান্ত নিরাশ না হওয়া পৰ্য্যন্ত কিছুতেই বাহিরে এ মিথ্যা প্রচার করিবে না,-তবুও দিন-দুই পরে কাছারির গমস্ত যখন হিসাব সই করাইতে বিজয়ার দর্শন প্রার্থনা করিল, তখন সে অসুস্থতার ছুতা করিয়া চাবােদরকে দিয়া খাতা-পত্র উপরে চাহিয়া আনাইল। আজ নিজের কর্মচারীকেও দেখা দিতে তাহার লজ্জা করিতে লাগিল, পাছে কোনও ছিদ্ৰ দিয়া এ কথা তাহার কানে গিয়া থাকে, এবং তাহার চক্ষেও অবজ্ঞা ও উপহাসের দৃষ্টি লুকাইয়া থাকে। একটা জিনিষ সে যেমন ভয় করিতেছিল, তেমনি প্ৰাণ দিয়া কামনা করিতেছিল,—তাহার পিতার পত্র লইয়া নরেন নিজেই উপস্থিত হইবে। RRtr