পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বিংশ পরিচ্ছেদ বিজুয়া কহিল—তবে এও তিনিই স্থির করুন। আমার বন্ধু-বান্ধব কেহ নেই। দয়াল ইহার কোন উত্তর দিতে পারিলেন না । চলিতে চলিতে কথা হইতেছিল। বিজয়া সহসা প্রশ্ন করিয়া বসিল, যে চিঠিগুলো আপনি নরেন্দ্ৰবাবুকে দিয়েছিলেন, সে কি আপনি পড়েছিলেন ? দয়াল বলিলেন না মা, পরের চিঠি আমি পড়বা কেন। নরেনের পিতার নাম দেখেই আমি বুঝেছিলাম, এ যখন তার জিনিষ, তখন তার ছেলের হাতেই দেওয়া উচিত। একবার মনে হয়েছিল বটে, তোমাকে জিজ্ঞেস কোরব, কিন্তু-কোন দোষ হয়েছে কি মা ! বুদ্ধকে লজ্জা পাইতে দেখিয়া বিজয়া স্নিগ্ধ কণ্ঠে কহিল, তঁর বাবার জিনিষ ভঁাকে দিয়েছেন, এ তো ঠিকই করেছেন । * আচ্ছা, তিনি কি এ সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলেন নি ? দয়াল বলিলেন, না, কোন কথাই না । কিন্তু কিছু জানিবার থাকুলে তঁাকে জিজ্ঞোসা কোরে আমি কালই তোমাকে বলতে পারি। বিজয়া বিস্মিত হইয়া কহিল, কালই বলতে প্লাল্লুবেন কেমন ক’রে ? দয়াল কহিলেন, তা বোধ হয় পারি। আজকাল তিনি প্ৰত্যহই আমাদের ওখানে আসেন। কি না । বিজয় শঙ্কিত হইয়া কহিল, আপনার স্ত্রীর অসুখ আবার বেড়েচে, কৈ, সে কথা ত আপনি আমাকে বলেন নি। দয়াল একটু হাসিয়া বলিলেন, না, এখন তিনি বেশ ভালই আছেন। নরেনের চিকিৎসা, আর ভগবানের দয়া । বলিয়া তিনি হাত যোড় করিয়া উদ্দেশে প্ৰণাম করিলেন । R