পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বিবংশ পরিচ্ছেদ বিজয়া’ শান্ত অবজ্ঞার সহিত জবাব लि, চিনতে পারলেই চেনা तद्भकं न कि ! নলিনীকে কহিল, চলুন, আপনার মামীমার সঙ্গে আলাপ কোরে অ্যাসি । বলিয়া পলকমাত্র এ দিকে আর একবার দুর্গপতি করিয়া, তাহাকে এক প্রকার ঠেলিয়া লইয়া উপরে চলিয়া গেল।” নলিনী সিঁড়ির কয়েক ধাপ উপর হইতে ডাকিয়া কহিল, কিন্তু, চা না খেয়ে যেন পালাবেন না, নরেন বাবু ! নরেন ইতার ও জবাব দিতে পারিল না, -বিস্ময়ে, অপমানে একেবাবে কাঠ হইয়া দাড়াইয়া রচিল, এবং বৃদ্ধ দয়াল তাঙ্গার এই অপ্রত্যাশিত লজ্জার অংশ লইবার জন্য বিরস-মুখে সেইখানেই নীরবে দাড়াইয়া রহিলেন । কিন্তু, তবুও কেমন করিয়া যেন তঁহার কেবলি সন্দেহ হইতে লাগিল, যাহা বাহিরে প্রকাশ পাইল ইহা ঠিক সেই বস্তুই নয় ;- এই অকারণ অপমানের আবরণের নীচে যাঙ্গা দৃষ্টির আড়ালে রহিয়া গেল, তাঙ্গ আব যাহাই হৌক, উপেক্ষা অবহেলা নয়। কিছু পরে চা’য়ের জন্য উপরে ডাক পড়িলে, “আজি নরেন্দ্ৰ- দয়ালের অনুরোধ এড়াইয়া নীচেই রহিয়া গেল। কিন্তু, তাহাকে একাকী ফুেলিয়া দয়াল উপরে যাইতে পারিতেছেন না দেখিয়া, তৎক্ষণাৎ সহাসু্যে কহিল, আমি ঘরের লোক, আমার কথা ভাববেন না। দয়ালবাৰু। কিন্তু, আপনার মান্য অতিথিটির সম্মান রাখা আবশ্যক । আপনি শাস্ত্ৰ যান । দয়াল দুঃখিত এবং লজ্জিতভাবে উপরে যাইবার উপক্ৰম করিয়া কহিলেন, তা হ’লে তুমি কি একটু বসবে ? R