পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W\5 বলিয়া কাগজখানা বিজয়ার হাতে গুজিয়া দিলেন । বিজয়ী দৃষ্টিপাতমাত্রেই বুঝিল, ইহা তাহদের ব্ৰাহ্মবিবাহ আইনমতে রেজেষ্টি, করিবার আবশ্যক }দল । ছাপা এবং হাতের লেখা আগাগোড়া দুই-তিনবার করিয়া, পাঠ, করিয়া, অবশেষে সে মুখ তুলিল। বেশী সময় যায় নাই, কি ঐ, এইটুকু সময়ের মধ্যেই তাহার মনের মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটিল। তাহার এতক্ষণের এতবড় বেদনা অকস্মাৎ কি একপ্রকার কঠিন ঔদাসীন্য ও নিদারুণ বিতুষ্ণায় রূপান্তরিত হইয়া দেখা দিল । তাঙ্গার মনে হইল, জগতের সমস্ত পুরুষই এক ছাঁচে ঢালা ; রাসবিহারী, দয়াল, বিলাস, নরেন্দ্ৰ-আসলে কাহারো সঙ্গে কাঙ্গারো প্ৰভেদ নাই। শুধু বুদ্ধি ও অবস্থার তারতম্যে যা কিছু প্ৰভেদ বাহিরেন প্ৰকাশ পায়, এইমাত্র ; নহিলো নিজের সুখ ও সুবিধার কাছে নীচতায়, কৃতঘ্নতায়, নিৰ্ম্মম নিষ্ঠুরতায় নারীর পক্ষে ইহারা সকলেই সমান । আজি দয়ালের আচরণটাই তাহাকে সব চেয়ে বেশী বাজিয়াছিল । কারণ, কেমন করিয়া যেন তাহার অসংশয়ে বিশ্বাস জন্মিয়াছিল, তুহার হৃদয়ের একাগ্ৰ কামনার জিনিষটি, ইনি জানিতেন । অথচ এই দয়ালের জন্য সে স্কি না করিয়াছে ! সমস্ত প্ৰাণ দিয়া শ্ৰদ্ধা করিয়াছে, ভালবাসিয়াছে, একান্ত আপনার ভাবিয়াছে। কিন্তু, নিজের ভাগিনেয়ীর কল্যাণের পার্থে সমস্ত জানিয়া শুনিয়াও, তিনি এই বিশ্বাসের কোন মৰ্যাদাই রাখিলেন না। তাহার চােখের নীচেই যখন দিনের পর দিন এক অনাত্মীয়া রমণীর মর্মান্তিক দুঃখের পথ প্ৰস্তুত হইতেছিল, তখন কতটুকু দ্বিধা, কতটুকু করুণা তঁহার মনে জাগিয়াছিল! তবে রাসবিহারীর সহিত মূলতঃ তাহার ቅ Šm”