পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

re উঠিয়াছে। কলহ-বিবাদী, তর্ক-বিতর্ক, অশান্তি-উপদ্রব বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডে কোথাও আর কিছু নাই-একটা রাত্রির মধ্যেই সমস্ত যেন একেবারে মুনি-ঋষির তপোবন হইয়া গেছে। 3-city এই ঊরম অবসাদকে শান্তি কল্পনা করিয়া বিজয়া পক্ষাঘাত-গ্রস্তের মত হয় তা আরও বহুক্ষণ বিছানায় পড়িয়া থাকিতে পারিত ; কিন্তু পরেশের মা আসিয়া দ্বারপ্রান্ত হইতে শান্তি ভঙ্গ করিয়া দিল। যে লোক প্রভৃষেই শয্যা ত্যাগ করে, তাহার পক্ষে এতখানি বেলায়, সে উৎকণ্ঠিত-চিত্তে বারংবার ডাকাডাকি করিয়া কবাট খুলিয়া তবে ছাড়িল । হাত-মুখ ধুইয়া, কাপড় ছাড়িঃ প্ৰস্তুত হইয়া, বিজুয়া নীচে নামিতেছিল ; শুনিল বাহিরে রাসবিহারী আজ স্বয়ং আসিয়া জন-মজুরদের কাৰ্য্যের তত্ত্বাবধান করিতেছেন। মাত্র দুটি দিন। আর বাকী, এইটুকু সময়েই সমস্ত বাড়ীটাকে মাজিয়া-ঘাঁসিয়া একেবারে নূতন করিয়া তুলিতে হইবে। as: বিজয়া একটু পূর্বেই উদ্ভাবিয়াছিল, গতরাত্রে যে দুরূহ সমস্যার শেষ এবং চরম নিষ্পত্তি হইয়া গেছে, কোনও কারণে কাহারও দ্বারা যাহার অন্যথা ঘটিতে পারে না, তাহার ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ লইয়া আর সে। মনে মনেও কখনো বিতর্ক করিবে না। তাহা মঙ্গময়ের ইচ্ছায় মঙ্গলের জন্তেই হইয়াছে, এ বিশ্বাসে সন্দেহের ছায়াটুকুও আর পড়িতে দিবে না, কিন্তু সহসা দেখিতে পাইল, তাহা সম্ভব নয়। রাসবিহারী নীচে আছেন, নামিলেই মুখোমুখী সাক্ষাৎ হইয়া যাইবে, ইহা মনে করিতেই তাহার সৰ্ব্বাঙ্গ বিমুখ হইয়া। আপনিই সিড়ি হইতে ফিরিয়া আসিল। বহুক্ষণ 89.